ছাতকে চাচাতো ভাইয়ের হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু

13

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে চাচাতো ভাইয়ের হামলায় গুরুতর আহত মোস্তফা আনোয়ার এনাম (৪০) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মোস্তফা আনোয়ার এনাম পৌরসভার নোয়ারাই মহল্লার মৃত মতিন মিয়ার পুত্র। হামলাকারী তার চাচাতো ভাই দবির মিয়া মৃত নূর মিয়ার পুত্র।
জানা যায়, ঈদের আগেরদিন গত (১৩ মে) বৃহস্পতিবার ইফতারের পূর্বমুহূর্তে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার উপর হামলা চালায় আপন চাচাতো ভাই দবির ও তার স্ত্রী সহ লোকজন। এতে সে গুরুতর আহত হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এনামকে ঢাকায় রেফার করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো এয়ার এ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভর্তির পর থেকেই তিনি হাসপাতালের আইসিইউ-তে ছিলেন ৭ দিন। এর মধ্যে কখনো তার জ্ঞান ফিরে আসেনি। পরবর্তীতে থাকে পুনরায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন মোস্তফা আনোয়ার এনাম।
তার মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ নাজিম উদ্দিন।
মোস্তফা আনোয়ার এনামের ভাই মোস্তফা দেলোয়ার পারভেজ জানান, তার ব্যবসায়ী ভাই মোস্তফা আনোয়ার এনাম সিলেটে থাকেন। পরিবারের সকলের সাথে ঈদ উদযাপনের জন্য তিনি বাড়িতে এসেছিলেন। ঈদের আগের দিন ইফতারের পূর্বে ইফতারি ও বাজার নিয়ে ঘরে ফিরছিলেন। ঘরের পাশে আসলে চাচাতো ভাই দবির মিয়ার স্ত্রী লাভলী বেগম তার উপর নোংরা পানি ফেলে দেয়।
এ নিয়ে দবির ও দবিরের স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটি হয় এনামের। এসময় দবির মিয়া ও তার স্ত্রী লাভলী বেগম সহ তাদের সহযোগীরা দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপিয়ে আহত করে মোস্তফা আনোয়ার এনামকে।
গুরুতর আহত অবস্থায় মোস্তফা আনোয়ার এনামকে উদ্ধার করে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পার্কভিউ হাসপাতালে ৭দিন আইসিইউ-তে থাকার পর বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।
হামলার ঘটনার পর মোস্তফা আনোয়ার এনামের অপর ভাই মোস্তফা জুবায়ের বাদী হয়ে ছাতক থানায় ৯জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় মৃত নূর মিয়ার পুত্র রকিব মিয়া ও কবির মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এ মামলার অন্যান্য আসামী দবির মিয়া, তার স্ত্রী লাভলী বেগম, শিহাব মিয়া, মিশু, শরীফ, জমির মোল্লা, শিউলী পলাতক রয়েছে।