ওসমানীনগরে পূজা পরিষদের কমিটি নিয়ে বিতর্ক

38

বালাগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটি নিয়ে ক্রমেই নানা মুখী ষড়যন্ত্রের ডালপালা বিস্তৃত হচ্ছে। সংগঠনের জেলা কমিটির নেতারা উপজেলার নেতৃবৃন্দ ও কাউন্সিলর নিয়ে রীতিমত তামাশায় মেতে ওঠেছেন। পূজা পরিষদের কমিটি নিয়ে ক্রমশ জটিলতার সৃষ্টি হওয়ায় বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটির হস্তক্ষেপে চলে যায়। কিন্তু জেলার নেতারা কেন্দ্রীয় নেতাদের ডিঙ্গিয়ে এক তরফাভাবে বিতর্কিত কমিটি দিয়ে নতুন নাটকের জন্ম দিয়েছেন বলে সংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও কাউন্সিলরদের অভিযোগ।
জানা যায়, গত ৫ মে সম্মেলনের মাধ্যমে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ মতামতের ভিত্তিতে উপজেলা পূজা পরিষদের কমিটির গঠনের কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে জেলার নেতাদের মনোনিত লোকজনকে দিয়ে কমিটি ঘোষণা করায় সংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও কাউন্সিলররা ওই কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন। নেতৃবৃন্দরা ফুঁসে ওঠে বিতর্কিত কমিটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী অবস্থান নেন। বিষয়টি কেন্দ্র পর্যন্ত গড়ায়। পুনরায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ঐক্যমতের ভিত্তিতে কমিটি দেয়ার বিষয়ে কেন্দ্রের নেতারা জেলার নেতাদের নির্দেশ দেন। জেলার নেতারা কেন্দ্রীয় নির্দেশের কথা স্বীকার করলেও তারা বিভিন্ন ভাবে তালবাহানা শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে জেলার নেতারা কেন্দ্রীয় নেতাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ১৩ জুলাই একটি মনগড়া কমিটি দিয়ে আবারো বিতর্কের সৃষ্টি করেন বলে সংগঠনের উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দের অভিযোগ।
এদিকে ৫মে’র পরবর্তী সময়ে জেলার নেতাদের ঘোষিত কমিটিতে শশাংক পালকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেয়া হলে তিনিও অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে ওই কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু জেলার নেতারা শশাংক পালকে না জানিয়ে বা মতামত না নিয়ে ১৩ জুলাইয়ের কমিটিতে আবারো তাকে ওই পদে রাখায় তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে শশাংক পাল বলেন, নতুন কমিটির বিষয়ে আমাকে কিছুই অবগত করা হয়নি।
অপরদিকে মঙ্গলবার বিকেলে ১৩ জুলাইয়ের দেয়া কমিটির পরিচিতি সভার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাজানি হলে নেতৃবৃন্দের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এরপর থেকেই সংগঠনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন ঘোষকে নিয়ে সমালোচনার অন্ত নেই। ওই বিতর্কিত কমিটির জন্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও কাউন্সিলররা রঞ্জন ঘোষকে এক তরফাভাবে দায়ি করে আসছেন।
সংগঠনের উপজেলা শাখার একাধিক নেতা ও কাউন্সিলরদের অভিযোগ, কমিটি নিয়ে জটিলতা নিরসনে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ রয়েছে। সেখানে সংগঠনের জেলার শাখার সেক্রেটারীসহ কতিপয় নেতারা একের পর এক বিতর্কিত কমিটি দেয়ায় এটাই প্রমাণিত হচ্ছে এখানে তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় জড়িত রয়েছে।
এ বিষয়ে সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট নিরঞ্জন কুমার দেবের সাথে বুধবার রাত নয়টায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে বলেন- এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে আপনাদের সব কিছু জানানো হবে।