সুরমা-কুশিয়ারা সহ সব ক’টি নদীর পানি বিপদ সামীর উপরে

56

স্টাফ রিপোর্টার :
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও টানা বর্ষণে সিলেট বিভাগের নদ নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন স্থানে বোরো ফসল। সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি পাঁচটি পয়েন্টেই বেড়ে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রেন্দ্রর তথ্য থেকে জানা যায়, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে জেলার কিছু স্থানে বিদ্যমান আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে। সাথে সাথে আগামী ২৪ ঘন্টা সিলেটে বজ্রসহ ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে নদ-নদীর পানির আরো বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা রয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের রেকর্ড অনুযায়ী, সুরমা নদীর কানাইঘাট ও সিলেট, কুশিয়ারার অমলশীদ, শেওলা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও মারকুলি, মনু নদীর মৌলভীবাজার, খোয়াই নদীর বাল্লা ও হবিগঞ্জ, সুতং নদীর সুতং রেলওয়ে ব্রিজ, কংস নদীর জারিয়াজঞ্জাইল, কালনী নদীর আজমিরিগঞ্জ এবং বাউলাই নদীর খালিয়াজুরি এলাকার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশিদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৯০ সেন্টিমিটার, শেওলায় ১০৭ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জে ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশিদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৯০ সেন্টিমিটার, শেওলায় ১০৭ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জে ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া সুরমা নদীর পানি কানাইঘাটে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে আরো জানা যায়, ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে বৃষ্টি হলে বাংলাদেশে নদ-নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ জেলার বিদ্যমান আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। সেই সাথে সুনামগঞ্জ জেলার প্রধান নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। কোথাও কোথাও নতুন করে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এদিকে টানা ভারী বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের মনু ও ধলাই নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ার কারণে রাজনগর, কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৭৬ হেক্টর ফসল ডুবে গেছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, মনু নদীর পানি কুলাউড়া মনু রেলব্রিজ ও চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুলাউড়ার মনু রেলব্রীজ এলাকায় বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার এবং চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে ধলাই নদীর পানি কমলগঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্টে বিপদসীমার ০ দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।