হবিগঞ্জে বিউটি হত্যাকাণ্ড ॥ পুলিশের ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি

27

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে কিশোরী বিউটি আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ স ম শামছুর রহমান ভূইয়াকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে সবার মতামতের ভিত্তিতে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা।
কমিটির অন্য দুই সদস্য হলো বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা ও সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম।
কমিটি গঠনের সত্যতা স্বীকার করে পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা জানান, ‘পুরো বিষয়টি তদন্ত করে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।’
গত ২১ জানুয়ারি শায়েস্তাগঞ্জের ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের দিনমজুর সায়েদ আলীর মেয়ে বিউটি আক্তারকে (১৪) বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বাবুল মিয়া ও তার সহযোগীরা। এরপর এক মাস তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। এক মাস নির্যাতনের পর বিউটিকে কৌশলে তার বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় বাবুল। এ ঘটনায় গত ১ মার্চ বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা স্থানীয় ইউপি মেম্বার কলমচানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে মেয়েকে সায়েদ আলী তার নানার বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন। এরপর বাবুল ক্ষিপ্ত হয়ে ১৬ মার্চ বিউটি আক্তারকে উপজেলার গুনিপুর গ্রামের তার নানার বাড়ি থেকে রাতের আঁধারে জোর করে তুলে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণের পর তাকে খুন করে লাশ হাওরে ফেলে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
বিউটিকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে ১৭ মার্চ তার বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল মিয়াসহ দুজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ২১ মার্চ পুলিশ বাবুলের মা কলমচান ও সন্দেহভাজন হিসেবে একই গ্রামের ঈসমাইলকে আটক করে। কিন্তু মূল হোতা বাবুলকে পুলিশ আটক করতে পারেনি।