ইন্টারনেটের গতি কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার

21

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ইন্টারনেটের গতি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার একদিন পর সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
সোমবার সকাল আটটা পাঁচ মিনিটে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবিএ-এর কাছে বার্তা পাঠিয়ে ইন্টারনেটের গতি কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা জানানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আইএসপিএবিএ-এর সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, সকাল আটটা পাঁচ মিনিটে আমরা বিটিআরসির কাছে থেকে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক করার জন্য বার্তা পেয়েছি। ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে। ইন্টারনেটের গতি এখন স্বাভাবিক আছে। দেশজুড়ে স্বাভাবিক গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে’।
দেশজুড়ে চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের পর ফেসবুকসহ ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরামর্শ শেষে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে বলা হয় বিটিআরসিকে। এই বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেন তা ডাক, টেলিযোগােেযাগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। এটা ঠেকানোর দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। সেজন্য ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া কিংবা এর গতি কমানোর কোনো মানেই নেই। আমি ফেসবুক কিংবা ইন্টারনেট বন্ধের পক্ষে কোনো দিনেই ছিলাম না। কিন্তু যেহেতু এটা সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তাই বিটিআরসিকে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ইন্টারনেটের গতি কমানো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। যদিও সরকার এখন সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। এটা ভালো সিদ্ধান্ত।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলবো-আপনারা প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত আসল অপরাধীদের খুঁজে বের করুন। এজন্য ইন্টারনেট বন্ধ করে সাধারণ মানুষদের ভোগান্তিতে ফেলার কোনো মানে নেই।’
এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে পরীক্ষা শুরুর দুই ঘণ্টা আগে থেকে মোট আড়াই ঘণ্টা সময় ইন্টারনেটে ধীর গতি রাখার জন্য গতকাল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। সেজন্য গতকাল রাতে ইন্টারনেট বন্ধের মহড়াও চলে। বিটিআরসি জানিয়েছিল পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা পর পর্যন্ত ইন্টারনেট ধীর গতিতে চলবে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি থেকে দেশের সব আইআইজিকে (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল। আজ অন্য এক নিদের্শনায় ইন্টারনেটের গতি ধীর করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিটিআরসি।