খোয়াই নদী খননের দাবিতে বাপা ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপারের নৌকা ভাসানো কর্মসূচী ॥ নদীটি দখল ও দূষণের শিকার হয়ে হবিগঞ্জের পরিবেশ ও নদী নির্ভর জীবনযাত্রাকে বিপন্ন করে তুলেছে

57

খোয়াই একসময় খরস্রোতা নদী ছিল। উজানে ভারত সরকারের পানি সীমিতকরণ, দেশের অভ্যন্তরে প্রভাবশালী মহল দ্বারা দখল, খনন না হওয়া ইত্যাদি কারণে নদীটির ধারা দিন দিন ক্ষীণতর হয়ে যাচ্ছে। অথচ এই নদীর উপর নির্ভরশীল জেলার কৃষি ও বাণিজ্যের বিশাল অংশ।
গতকাল ১৯ নভেম্বর খোয়াই নদীতে প্রতীকি নৌকা ভাসানো কর্মসূচীতে বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন। সকাল ১০টায় হবিগঞ্জ খোয়াইমুখ এলাকায় ‘খোয়াই নদী খনন চাই, সারা বছর পানি চাই’ এই শ্লোগান নিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ শাখা ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার খোয়াই নদীতে নৌকা ভাসানো কর্মসূচী পালন করে। এই কর্মসূচীতে কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় এক সভায় বক্তব্য রাখেন বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল, নদী ও জলাশয় রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব আহসানুল হক সুজা, সৈয়দা হাফিজুন্নাহার কান্তা, মুক্তাদির হোসেন, ওসমান গণি রুমি, আমিনুল ইসলাম, খাদিজা আক্তার, সাফিকাত সাঈদা খান হৃমিতা, ফাহিম তালুকদার, হারুনুর রশিদ স্বপ্নিল, আদনান বিন আনোয়ার, মিজানুর রহমান, লিটন গোপ, মোঃ আল আমিন, দ্বিপায়ন দিপ্ত প্রমুখ।
খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনাহীনতা ও জনসাধারণের অসচেতনতার কারণে খোয়াই নদীর নাব্যতা কমে গেছে। নদীটি দখল ও দূষণের শিকার হয়ে হবিগঞ্জের পরিবেশ ও নদী নির্ভর জীবনযাত্রাকে বিপন্ন করে তুলেছে। মাইলের পর মাইল নদীর তীর ও নদী অভ্যন্তর দখল করে গড়ে উঠেছে ঘর-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফলে নদী ও নদীর তীর হয়ে পড়েছে হুমকির মুখে। শহর থেকে নদীর তলদেশ ১২ থেকে ১৫ ফুট উঁচু হয়ে উঠেছে। এতে নদীতে ঘিরে থাকা শহর হয়ে পড়েছে হুমকির সম্মুখীন। আর নদী পারের গ্রাম, ফসলি জমিকে সহ্য করতে হয়েছে ভাঙ্গনের আঘাত। বিজ্ঞপ্তি