স্ত্রীর মামলায় ওসমানীনগরের মাদরাসা অধ্যক্ষ শ্রীঘরে, পরে জামিনে মুক্ত

45

ওসমানীনগর থেকে সংবদদাতা :
স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় আটক হয়েছেন ওসমানীনগরের চক বাজার আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু সালেহ আল মাহমুদ। তিনি ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের চিন্তামনী গ্রামের আরফান আলীর ছেলে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কীন ব্রীজ এলাকা থেকে তাকে আটক করে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে তিনি জামিনে ছাড়া পেয়েছেন বলে জানা গেছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, মোগলাবাজার থানার দাউদপুর গ্রামের মখদ্দছ আলী ছিদ্দিকির মেয়ে মাছুমা ছিদ্দিকার সাথে ১৯৯৯ সালের ১৫ আগষ্ট আবু সালেহ আল মাহমুদের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিনপর থেকে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী মাছুমাকে নির্যাতন করে আসছিলেন অধ্যক্ষ মাহমুদ। ২য় বিয়ের অনুমতি এবং শ্বশুর বাড়ি থেকে বড় অঙ্কের টাকা এনে দেয়ার জন্য স্ত্রীর ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেন। এমতাবস্থায় চলতি বছরের ৮ এপ্রিল টাকার জন্য মাছুমাকে খুব বেশি মারপিট করে পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে স্ত্রী মাছুমা সিদ্দিকা গত ১৮ সেপ্টেম্বর সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে অধ্যক্ষ মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৬১৪/১৭।
আদালতে মামলা দায়েরের পর মামলা তুলে নেয়ার জন্য স্ত্রীকে নানা ভাবে হুমকি ও চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন মাহমুদ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাছুমা সিএনজি যোগে তার আত্মীয়ের বাড়ি দক্ষিণ সুরমা থানার বদিকোনা গ্রাম থেকে পিত্রালয়ে ফেরার পথে অধ্যক্ষ আবু সালেহ আল মাহমুদসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন সিএনজির গতিরোধ করে তালাক নামার একটি ফরমে তাকে স্বাক্ষর করতে বলেন। স্বাক্ষর না করায় স্ত্রী মাছুমাকে সিএনজি থেকে নামিয়ে রাস্তার পাশে নিয়ে তার দুই কানসহ শরীরে লাথি ও চড় থাপ্পড় মারেন স্বামী মাহমুদ। এ সময় তার ভাই ফেরদৌস রহমান আফরোজকেও মারধর করে আহত করা হয়। মাহমুদার কানে ঘুসি মারার কারণে তার দুই কানের পর্দা ফেটে যায় বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনায় অধ্যক্ষের স্ত্রী মাছুমা সিদ্দিকা বাদি হয়ে ১০ অক্টোবর দক্ষিণ সুরমা থানায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং-৬। দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল বশর মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাহমুদকে আটকের পর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।