বিরামহীন বৃষ্টি, জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি নগরবাসীর ॥ বৃষ্টি আরো ৩ দিন অব্যাহত থাকবে

57

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীতে ২ দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি। কখনো মুষলধারে, কখনো টিপটিপ। বিরামহীন বৃষ্টির কারণে নগরীর অলিগলিতে কোথাও জমেছে হাঁটুপানি, কোথাওবা কোমরসমান পানি। অনেকের বাসা-বাড়িতেও পানি ঢুকে সৃষ্টি করেছে ভোগান্তির। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঘর থেকে বের হতে যাওয়া মানুষ দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে আজ রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
নগরীর বিভিন্ন এলাকার খবর নিয়ে জানা গেছে পাড়ামহল্লার সরু রাস্তাগুলো পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে। অবিরাম বৃষ্টির কারণে অনেকের বাসা-বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। নগরীর শাহজালাল উপশহর, সোনারপাড়া, মিরাবাজার, চালিবন্দর, জিন্দাবাজার, তাঁতীপাড়া, তালতলা, জামতলা, দাড়িয়াপাড়া, লামাবাজার, শেখঘাট, কদমতলী, কাজির বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে নগরীর বিভিন্ন সড়কেও দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। গত কয়েক মাসের বৃষ্টিতে  নগরীর অধিকাংশ সড়কসমূহে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। গর্তগুলোতে পানি জমার ফলে যানবাহন চলাচলেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এতে করে বিভিন্ন ধরণের যানবাহনের সংখ্যাও কমে গেছে। বৃষ্টি বেশি হওয়ার কারণে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।
বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে আরও ৩ দিন, ভূমিধসের আশঙ্কা: মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সারাদেশেই বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে। এতে স্বাভাবিক জনজীবনে বিঘœ ঘটছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বৃষ্টির এ প্রবণতা আরও ৩ দিন থাকতে পারে। ভারিবর্ষনে সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। গত শুক্রবারের মতো গতকাল শনিবারও সিলেট জুড়ে থেমে থেমেও বৃষ্টিপাত হয়েছে। নগরীর অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, একদিনে ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিকে ভারী এবং ৮৯ মিলিমিটার বা এর বেশি বৃষ্টি হলে তাকে অতি ভারী বৃষ্টি বলে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার বা এর বেশি) বৃষ্টি হতে পারে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।