বিয়ানীবাজারে ব্যাংক কর্মকর্তা আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে আটক ২

50

বিয়ানীবাজার সংবাদদাতা থেকে :
বিয়ানীবাজার পৌরশহরের যমুনা ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার স্বজল কান্তি দাস আত্মহত্যা ঘটনায় প্ররোচণার 2034-1অভিযোগে পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে। হুমকির মুখে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে সুইসাইড নোটে লিখে গেছেন।’
গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে সিলেট শহরের হাউজিং এস্টেটের বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। এর আগে নিহতের ভাই বাদী হয়ে আটককৃতদের অভিযুক্ত করে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, আটককৃত দুইজন স্বামী-স্ত্রী। তারা হলে ব্যবসায়ী আলী আহমদ সেলিম (৫০) ও যমুনা ব্যাংক সিলেট বন্দরবাজার (মধুবন মার্কেট) শাখার কর্মকর্তা ব্যবসায়ী সেলিমের স্ত্রী কামরুন নাহার স্বপ্না (৪৫)।
জানা যায়, যমুনা ব্যাংক কর্মকর্তা স্বপ্নার সহযোগিতায় তার স্বামী ব্যবসায়ী সেলিম প্রথমে ২৫ লাখ এবং পরবর্তীতে স্বজনদের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণ (লোন) গ্রহণ করেন। সব মিলিয়ে এ দম্পতি ব্যাংক থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা ঋণ নেন। ঋণ নেয়ার পর থেকে ব্যাংকের টাকা পরিশোধে তারা গড়িমসি শুরু করেন। এ নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন ব্যাংক ম্যানেজার স্বজল কান্তি দাস। ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের চাপ এবং এ দম্পতির প্রতারণা বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে স্বজল কান্তি দাস আত্মহত্যা করেছেন বলে তার স্বজনদের অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানায়, ব্যাংক ম্যানেজারের কক্ষ থেকে পাওয়া সুইসাইড নোটে আটককৃত দুইজনের নাম রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ সুইসাইড নোটে কি লেখা রয়েছে তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে সুইসাইড নোটে লিখা রয়েছে, ‘ব্যাংক ম্যানেজার স্বজল কান্তি দাস তার সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের জীবন বাঁচাতে আত্মহত্যা করেছেন।’ বিভিন্ন সময়ে ব্যবসায়ী সেলিম তাকে মরে যেতে বলেছেন, নতুবা তার সন্তানদের হত্যা করার হূমকি দিয়েছেন।’
এ দিকে সোমবার রাতে স্বজল কান্তি দাসের ভাই সুজীব দাস বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় আত্মহত্যা প্ররোচিত মামলা (০১/৩১-০৭-১৭) দায়ের করেন।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তা আত্মহত্যা ঘটনায় মামলা দায়ের পর পুলিশ সিলেট থেকে দুইজনকে আটক করেছে।