হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

53

স্টাফ রিপোর্টার :
খাদিমনগরে জমির উদ্দিন নামের এক ভূমিব্যবসায়ীকে হত্যা ও লাশ গুম করার মামলায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা এ রায় প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছে- নগরীর মেজরটিলা এলাকার মোহাম্মদপুর ২ নং প্রত্যাশা বালিঙ্গা কটেজের মৃত আবুল লেইছ চৌধুরীর পুত্র আহবাব হোসেন চৌধুরী (৬২), বিয়ানীবাজারের বড় বালিঙ্গা গ্রামের মৃত মুসলিম আলীর পুত্র মোহাম্মদ মইনুল (৪১) ও গোলাপগঞ্জের মঞ্জুরাবাদ গ্রামের ফখরুল ইসলামের পুত্র মো. রুম্মান আহমদ (১৯)। রায় ঘোষনার সময় আহবাব ও মইনুল আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও রুম্মান পলাতক ছিলেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফুর আলী জানান, তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ছাড়াও ৩ জনকে হত্যার পর লাশ গুম করার অভিযোগে আরও ৫ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, মেজরটিলার চামেলিবাগ এলাকার বাসিন্দা জমির উদ্দিন (৫৫)  পেশায় একজন ভূমিব্যবসায়ী ছিলেন। ভূমিসংক্রান্ত বিষয়ে আলাপ করার কথা বলে জমির উদ্দিনকে ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর দুপুরে আসামিরা আহবাব হোসেন চৌধুরীর বাসায় নিয়ে যায়। পরদিন খাদিমনগর বড়জান চা-বাগান থেকে জমিরের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। চামেলিবাগ পার্শ্ববর্তী মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আহবাব হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে জমি ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জমিরকে খুন করা হয়। পুলিশ এ তথ্য উদঘাটনের পর আহবান ও মইনুলকে আটক করে। পরে জমিরের ভাই আলা উদ্দিন বাদী হয়ে শাহপরান থানায় হত্যা ও লাশ গুম করার অভিযোগ এনে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। নং- ১৩ (১২-১১-২০১২)। শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিবেন্দ্র চন্দ্র দাশ মামলার তদন্ত করে ২০১৩ সালের ২০ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল আদালতে অভিযোগ গঠন হলে মামলার ৩২ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এডভোকেট মো: মফুর আলী, বাদীপক্ষে এডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম ও আসামীপক্ষে এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, আব্দুল খলিলুর এবং আব্দুর রউফ মিল্লাত মামলাটি পরিচালনা করেন।