ফেঞ্চুগঞ্জে বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণকালে দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী- বন্যাদুর্গতদের সবধরনের সহায়তা করা হবে ॥ ৫শ’ টন চাল ও ১০ লাখ টাকা বরাদ্দের ঘোষণা

25

স্টাফ রিপোর্টার :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বন্যার পানি না নামা পর্যন্ত বন্যাদুর্গত s... (5)মানুষদের সবধরনের সহায়তা করবে সরকার। মঙ্গলবার দুপুরে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ৩টি আশ্রয় কেন্দ্রের মধ্যে ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া বন্যার্ত ৩৫ পরিবার হাতে ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে এমন মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন, তারা নিজ ঘরে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত সহায়তা দিয়ে যাওয়া হবে। এছাড়া যাদের ঘর নাই বা গৃহহীন হয়ে পড়েছেন, তাদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী মায়া বলেন, কোনো মানুষই যেন গৃহহীন না থাকে। যার ঘর দরকার, তাকে ঘর দেওয়া হবে। যার খাওয়া দরকার, তাকে খাদ্য দেওয়া হবে। কুশিয়ারা নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি ও খননে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে উদ্যোগ নেয়া হবে।
এরপর বেলা দেড়টায় কুশিয়ারা সেতু সংলগ্ন ফেঞ্চুগঞ্জ বাজার সড়কে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের সামনে আসেন মন্ত্রী। বন্যার্ত এলাকা পরিদর্শনের জন্য নৌকা তৈরি থাকলেও সফর সীমিত করেন তিনি। পরে তীরে দাঁড়িয়ে বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ্ কামাল, যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মহসিন, সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী কয়েস, সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মন্ত্রী মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বন্যার্ত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করেন।IMG_2184
এদিকে সিলেটের বন্যার্তদের জন্য ৫০০ টন চাল এবং ১০ লাখ টাকা এবং দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায় এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন- বন্যার পানি না নামা পর্যন্ত বন্যাদুর্গত মানুষদের সবধরনের সহায়তা করবে সরকার। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আছে তারা বাড়ি ফেরার পূর্ব পর্যন্ত খাদ্য সহযোগীতা প্রদান করা হবে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি মন্ত্রী বলেন, যারা জেলা পর্যায়ে আছেন তারা বসে থাকবেন না। একটু নড়াচড়া করেন। দুর্গত এলাকায় যান।
সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ারের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট. মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. লূৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।