কুলাউড়া ও জুড়ী হিসাবরক্ষণ অফিসে ১২ পদের ৯টিই শূন্য

50

শাহ আলম শামীম, কুলাউড়া থেকে :
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলার হিসাবরক্ষণ অফিসে দীর্ঘদিন ধরে ১২টি পদের মধ্যে ৯টি পদই খালি হয়ে আছে। জনবল সঙ্কটের কারণে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে দুই উপজেলার শতাধিক সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে। অনেক সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দেয়। তারা সময়মতো বেতন-ভাতার টাকা উত্তোলন করতে পারেন না।
জানা যায়, হিসাবরক্ষণ অফিস উপজেলা প্রশাসনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শাখা। উপজেলার সব সরকারি কর্মকর্তার বেতন-ভাতার হিসাব-নিকাশ, সরকারি আয়-ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ এ অফিস সম্পাদন করে থাকে। কিন্তু ২০০৪ সালে কুলাউড়া উপজেলা থেকে ভাগ হয়ে নতুন উপজেলা হিসেবে জুড়ী গঠিত হয়। কিন্তু জনবল সঙ্কটের কারণে সরকারি এক আদেশে জুড়ী উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কার্যক্রম চলে কুলাউড়া অফিসের মাধ্যমে। কুলাউড়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে শূন্য পদগুলো হলো উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার, জুনিয়র হিসাবরক্ষণ অফিসার একজন, টাইপিস্ট, অফিস সহায়ক। এ অফিসে শুধু কর্মরত রয়েছেন অডিটর শরিফ উদ্দিন আহমদ ও জুনিয়র হিসাবরক্ষণ অফিসার মো. আমির হোসেন।
এদিকে জুড়ী হিসাবরক্ষণ অফিসের শূন্য পদগুলোর মধ্যে রয়েছে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার, জুনিয়র হিসাবরক্ষণ অফিসার দুজন, টাইপিস্ট, অফিস সহায়ক। জুড়ী অফিসেও শুধু কর্মরত রয়েছেন অডিটর গোলাপ চন্দ্র দে। জনবল সঙ্কটের কারণে কমলগঞ্জ উপজেলার হিসাবরক্ষণ অফিসার মো. এখলাছুর রহমান সপ্তাহে দুই দিন কুলাউড়া ও জুড়ী হিসাবরক্ষণ অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া ও জুড়ী হিসাবরক্ষণ অফিসের হিসাবরক্ষণ অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা) মো. এখলাছুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এই দুই উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ অফিসের ৯টি পদ শূন্য। আমি এটা অনেকবার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি, কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। আর একা এত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা যাচ্ছে না।