চুনারুঘাট প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনম না থাকায় ৫ দিনের ব্যবধানে সাপে কাটা ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সাপের ছোবলে গত ১৭ জুন কালিকাপুর গ্রামের কিশোর মো. সালাহউদ্দিন মারা গেছে। একই ঘটনায় বৃহস্পতিবার মারা যান জালালাবাদ গ্যাস ফিল্ডের অফিস সহকারী আব্দুল কাদির জিতু। গত মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টির পানিতে নিজ গ্রামের দিঘির নালে মাছ শিকার করতে যান আব্দুল কাদির। এ সময় তাঁকে বিষাক্ত সাপ ছোবল দেয়। তাঁকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে তাঁর মৃত্যু ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে চুনারুঘাট উপজেলার থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোজাম্মেল হোসেন জানান, চুনারুঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনম না থাকায় আব্দুল কাদিরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসাধীন তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে গত ১৭ জুন বিকেলে মাছ শিকার করতে গিয়ে সাপের ছোবলের শিকার হন উপজেলার রানীগাও ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের সালাহউদ্দিন নামে এক কিশোর। তাকে চুনারুঘাট হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন না পাওয়ায় তার মৃত্যু ঘটে বলে তার পরিবারের দাবি।
প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে চুনারুঘাট উপজেলায় সাপের ছোবলের শিকার বেশি হন গ্রামের মানুষ। গ্রামাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নদী, খাল, পুকুরের পানি উপচে বাইরে প্রবাহিত হওয়ার সময় মাছ শিকারে গিয়ে মানুষ সাপের কবলে পড়ে। কুসংস্কারের কারণে সাপে কাটা রোগীরা চিকিৎসকের কাছে যান না। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় সাপে কাটা ব্যক্তির জীবন হুমকির মুখে পড়ে। আবার অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেও সময়মতো অ্যান্টিভেনম না পাওয়ার কারণে অকালে মারা যান।
জানা গেছে, প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে সাপে কাটার ঘটনা এ উপজেলায় বেশি ঘটে। সে কারণে চুনারুঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিভেনম সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন উপজেলাবাসী।