স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর আখালিয়াঘাট নতুন বাজার এলাকায় ফরিদা পারভীন (২৪) নামে এক গৃবধূকে পিটিয়ে ও শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার মধ্যরাতে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত ফরিদা পারভীন মনি (২২) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রাজনগর গ্রামের আব্দুল মতিনের কন্যা। এ ঘটনায় তার স্বামী রুবেল আহমদকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। রুবেল সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের দুলন মিয়ার পুত্র।
এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার নিহত ফরিদার পিতা আব্দুল মতিন বাদি হয়ে জামাতা রুবেল আহমদের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকে আসামী করে জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-২২২) দায়ের করেন। এদিকে পুলিশ বৃহস্পতিবার ময়না তদন্ত শেষে নিহতের লাশ তার আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করেছে।
সূত্র জানায়, প্রায় দেড় বছর আগে ফরিদাকে বিয়ে করেন রুবেল। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে নানা কারণে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। গত বুধবার রাতের কোনো এক সময় সে স্ত্রীকে পিটিয়ে শ্বাসরূদ্ধ করে হত্যা করে। হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজাতে স্ত্রীর লাশ বাথরুমে ঝুলিয়ে রাখে। পরে রুবেলসহ পরিবারের লোকজন মিলে স্ত্রীর লাশ ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। এদিকে ওসমানী হাসপাতাল থেকে ঘটনার খবর পেয়ে জালালাবাদ থানা পুলিশ নিহত ফরিদার স্বামী রুবেল আহমদকে আটক করে।
ফরিদা পারভীন মনির চাচা সুজন মিয়া অভিযোগ করেন, যৌতুকের জন্য প্রায়ই মনিকে মারধর করতেন রুবেল। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাবা-মার সাথে ফোনে কথা বলে মনি। কিন্তু রাত ১১টার দিকে ওসমানী হাসপাতাল থেকে আমরা জানতে পারি, মনি মারা গেছে। হাসপাতালে গিয়ে মনির নিথর দেহ দেখতে পাই আমরা। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করেছে রুবেল।
এ বিষয়ে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওকিল উদ্দিন আহমদ বলেন, রুবেলের পরিবারের লোকজনের দাবি ফরিদা পারভীন বাথরুমে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু সুরতহাল প্রতিবেদনে মরদেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, তাকে নির্যাতনের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে, আবার নিজেরাই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আটক রুবেল আহমদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং লাশ ময়না তদন্ত শেষে নিহতের লাশ তার আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।