কাজিরবাজার ডেস্ক :
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রাজধানীর বনানী কবরস্থানের দুই নম্বর গেট সংলগ্ন ভিআইপিদের জন্য নির্ধারিত স্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। সন্ধ্যা ৬টা ২০মিনিটের দিকে তাকে বনানী কবরস্থানে নেয়া হয়। তাকে সমাহিত করার পর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এসময় তার আত্মীয়-স্বজন ও দলের নেতা-কর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে তার কবরটি বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়।
এর আগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে তাঁর নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তার মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স বনানী কবরস্থানের দিকে রওয়ানা হয়।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে কোকোর জানাযা শুরু হয়। শেষ হয় ৫টা ১৫ মিনিটে।
জানাযার নামাজ পড়ান বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা সালাউদ্দিন আহমদ।
কোকোর জানাযায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের হাজার-হাজার নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের লাখো মানুষ অংশ নেন।
জানাযার পর কোকোর মরদেহ বনানী কবরস্থানে দাফনের জন্য তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এর আগে, মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে কোকোর লাশবাহী গাড়ি এসে পৌঁছায়। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আলিফ মেডিকেল সার্ভিসের লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সে করে তার লাশ আনা হয়।
মা খালেদা জিয়া ছেলের মুখ শেষবারের মতো দেখেন। এর পর স্বজনেরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স কোকোর লাশ নিয়ে গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের দিকে রওনা হয়।
এদিকে কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ দেখেই মূর্ছা গেলেন মা বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কোকোর লাশ গুলশান চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আনার কিছু সময় পরেই তিনি তার ঘর থেকে নিচে নেমে আসেন ছেলেকে শেষ বারের মত দেখতে। কিন্তু মার মন বলে কথা, এত অল্প বয়সে ছেলে চলে যাওয়ার বেদনা সহ্য করতে পারেননি তিনি। তাই ছেলেকে এক-নজর দেখার পরেই মূর্ছা যান বেগম জিয়া।
সকাল থেকে বিষন্ন মনে কাতর হয়ে শুয়ে ছিলেন খালেদা জিয়া। ছেলের মুখটি শেষ বারের মতো দেখতে তিনি পাগলপ্রায় হয়ে ছিলেন। খালেদা জিয়ার নিকটাত্মীয়রাও তার সঙ্গে রয়েছেন। সকাল থেকেই তিনি কিছুই খাননি। এমনকি কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণও করছেন তিনি।