হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের মাধবপুরে স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে জামাল মিয়াকে নামে এক যুবককে অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া শায়েস্তাগঞ্জে গাঁজা সেবন, ব্যবসা ও অবৈধ স্পিরিট বিক্রির অভিযোগে ৪ জনকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে।
মাধবপুর থানা পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে উপজেলার চৌমুহনী খুরশিদ স্কুল এন্ড কলেজের দুই ছাত্রী বাড়ি থেকে কলেজে যাচ্ছিল। পথে চৌমুহনী ব্রিজের কাছে বহরা ইউনিয়নের আশ্রবপুর গ্রামের ছায়েব আলীর বখাটে ছেলে জামাল মিয়া তাদের যৌন হয়রানী করে। ছাত্রীদের শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে জামালকে আটক করে কলেজ অধ্যক্ষের কাছে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আনোয়ার বখাটে জামালকে আটক করে সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জামালকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন। রাতে জামালের স্বজনরা জরিমানার টাকা পরিশোধ করলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার পুরান বাজারে পুরান বাজারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার জামিল, চাই থোয়াই হলা চৌধুরী ও রুবাইয়া আফরোজ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় গাঁজা সেবনের অপরাধে সদর উপজেলার গুচ্ছ গ্রামের আবু বকরের পুত্র শামীমকে ১৫ দিনের কারাদন্ড এবং গাঁজা ব্যবসায়ী একই গ্রামের হাছন আলীর পুত্র ইনছাব আলীকে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। রাতেই দন্ডপ্রাপ্তদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া অবৈধ স্পিরিট বিক্রির অভিযোগে ওই এলাকার আগমনী হার্ডওয়্যারের মালিক অমর দেবকে ২ হাজার টাকা এবং একই অভিযোগে এমডি হার্ডওয়্যারের মালিক সেলিম মিয়াকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সার্কেল নজিব আলী।