জকিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
ঐক্যবদ্ধ জকিগঞ্জ আওয়ামীলীগে আবারও প্রকাশ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। ২০১৩ সালের শেষ দিকে সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধভাবে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটি গঠনের পর ইউনিয়ন কমিটির সম্মেলনে এ ফাটল প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলা আওয়ামলীগ আহবায়ক আলহাজ্ব লোকমান উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তকীম আলী হায়দরের পরিচালনায় জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী ও উপজেলা আওয়ামলীগের যুগ্ম আহবায়করা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন শেষে বিশৃংখলা এড়াতে গতকাল বুধবার আব্দুল হালিমকে সভাপতি ও মাহতাব মাষ্টার সাধারণ সম্পাদক ও জয় কুমার করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন উপজেলা আওয়ামীলীগ আহবায়ক আলহাজ্ব লোকমান উদ্দিন চৌধুরী। এ কমিটিকে পকেট কমিটি আখ্যা দিয়ে বয়কট ঘোষণা করে গতকাল বুধবার জকিগঞ্জ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাইফুল ইসলাম শিহাবের পরিচালনায় বিশেষ সভায় মুহি উদ্দিনকে সভাপতি, সাইফুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক ও জয় কুমার বিশ্বাসকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
জকিগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একাংশের সভাপতি মহি উদ্দিন বলেন, গণতান্ত্রিত সংগঠন আওয়ামীলীগ হলেও অগণতান্ত্রিকভাবে পকেট কমিটি করা হয়েছে। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের লোক দেখানো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও দলীয় কাউন্সিলররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পরেনি। সিলেটে আহবায়কের বাসায় বসে পকেট কমিটি গঠন করে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সম্মতি ছাড়াই নিষ্ক্রিয়দের নিয়ে কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগ আহবায়ক আলহাজ্ব লোকমান উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ৯ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের মতামতের ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন যুগ্ম আহবায়কের উপস্থিতিতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমার মতামতের ভিত্তিতে এ কমিটি হয়নি। পাল্টা কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগে কেউ বেতন পায়না সবাই সম্মান পায়। যারা ইউনিয়ন কমিটিতে পদ না পেয়ে পাল্ট কমিটি ঘোষণা করেছে তাদেরকে উপজেলা কমিটিতে সম্মানজনক পদ দেয়া হবে। জকিগঞ্জকে আওয়ামীলীগের একক ঘাটি করতে তিনি সবার সহযোগিতা প্রার্থী।