মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
বিএনপির অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল মৌলভীবাজার জেলার অবস্থাও এতদিন অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছিলো। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার নির্দেশে মৌলভীবাজার জেলায় জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আবারও সক্রিয় হয়ে উঠছে।
ইতিমধ্যে মহিলা দলের নেতৃবৃন্দ মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহŸায়ক মো. ফয়জুল করিম ময়ূনের সাথে তাঁর বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাত করে তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন এবং জেলা কমিটির কার্যক্রম বেগমান করতে আলোচনা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত সভাপতি) নাসরিন পারভীন, সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলেনা চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক) সুফিয়া রহমান ইতি, সাংগঠনিক সম্পাদক সুফিয়া সুলেমান কলি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামলী সূত্রধর, সহ-সাংগঠনিক আমিনা বেগম ডলি প্রমুখ।
মহিলা দলের নেতৃবন্দের ভাষ্য, বিএনপির সহযোগী এ সংগঠনে অসাংগঠনিক ব্যক্তিদের প্রাধান্য ছিল। এতে অভ্যন্তরীণ গ্রæপিং নানা সংকট আর অন্তর্কলহ। জেলা মহিলা দলের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন দিলশাদ পারভীন। তিনি দীর্ঘদিন অসুন্থ থাকায় রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় না থাকায় দলটি কার্যক্রম কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে। এছাড়াও কমিটিতে এমন অনেককেই সম্পাদক পদ দেওয়া হয়েছে, রাজনৈতিক অঙ্গনে যাদের তেমন পরিচিতি নেই এবং যারা বিগত দিনে বিএনপির রাজনীতিতে তেমন সক্রিয়ও ছিলেন না। বিশেষ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অবহেলার কারণে তৃণমূলে দলের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।
মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহŸায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, জেলা মহিলা দল ২০২২ সালে ১১ নভেম্বর ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। এই কমিটির গঠনের পর থেকে এপর্যন্ত মিটিং মিছিল করতে দেখা যায়নি। দলের কোন কার্যক্রম সক্রিয় ছিল না। তারমধ্যে মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিল্পী বেগম, জাহানারা বেগম ও রেহানা বেগম হাসনাসহ তিনজনকে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। আমি মনে করি এই মহিলা দল আগামীতে দলের জন্য কাজ করে যাবে। দলের মধ্যে মতভেদ না রেখে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করে আমাদের এই মহিলা দলকে সারা জেলায় সুসংগঠিত করতে হবে।’