‘এমন বিশ্ব গড়ি অটিজম বৈশিষ্টসম্পন্ন ব্যক্তির প্রতিভা বিকশিত করি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শনিবার সিলেটেও পালিত হয়েছে ১৫তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। এ উপলক্ষে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয় এবং প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড.মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদের নির্বাহী সদস্য ও সাবেক এমপি সৈয়দা জেবুন্নেছা হক।
সমাজসেবা অধিদফতরের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রভাষক সানজিদা সুলতানা ও সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সহকারী ব্যবস্থাপক লুৎফুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন-সিলেট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক নিবাস রঞ্জন দাস। বক্তব্য রাখেন-রহমানিয়া প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলহাজ্ব আতাউর রহমান খান সামছু, এওয়ার্ডের নির্বাহী পরিচালক কাজী মো.আবুল কালাম আজাদ, ডিফারেন্টলি এবল্ড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক দেওয়ান হাসিব রাজা চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোবারক হোসেন, সিলেট বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রফিক, সহকারী পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন, প্রবেশন অফিসার তমির হোসেন চৌধুরী, সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতাল সমাজসেবা অফিসার জাহানারা বেগম, সিলেট বধির সংঘের সভাপতি, দৈনিক সিলেটের ডাক এর সিনিয়র রিপোর্টার এম আহমদ আলী, সিলেট বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া নাসরিন।
অনুষ্ঠানে ইশারা ভাষা উপস্থাপন করেন-শেখঘাট বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষক আবু তাহের মো.ইবনে সাঈদ। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন- সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতাল সমাজসেবা অফিসার খলিলুর রহমান, পবিত্র গীতা পাঠ করেন- প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র সিলেট এর প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ শংকর রায় প্রমুখ।
সভায় বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, নিউরো ডিজওর্ডার ডিজএ্যাবেলিটি (এনডিডি) এর আওতায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে ১০হাজার টাকা অনুদান দেয়া হবে বলে জানান।
প্রধান অতিথি সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড.মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, সবার সমঅধিকার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। অটিজম বৈশিষ্টসম্পন্ন ব্যক্তির প্রতিভা বিকশিত করতে সরকারের বহুমুখি পদক্ষেপের কারণে মানুষ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। সরকার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। ভাতা বৃদ্ধি, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল সুরক্ষা ট্রাস্ট, সেল্টার হোম ইত্যাদি বিষয়ে পর্যায় ক্রমে উদ্যোগ এ ব্যাপারে নির্দেশিকা প্রণয়ন করছে। কাউকে পিছনে ফেলে নয়, সবাইকে এক সাথে নিয়ে সামনের দিকে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। উন্নয়নের মূল স্্েরাত ধারায় নিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি মানবিক রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখতেন। তিনি সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি মানুষের বিভিন্ন মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করে গেছেন। সুফল এখন এদেশের মানুষ ভোগ করছে। সকল ক্ষেত্রে তাঁর দূরদর্শিতা ছিল। জাতির পিতার মননে ছিল মানুষের কল্যাণ। এরই ধারাবাহিকতায় তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। তিনি সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনীর আওতায় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভাতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।এজন্য বিশ্বের দরবারে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রুল মডেল। প্রধানমন্ত্রীর ভিশন সবাইকে এক সাথে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। কাউকে পিছিয়ে রেখে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিজ্ঞপ্তি