দোয়ারাবাজারে কুরবানির পশু নিয়ে চিন্তিত খামারিরা

2

শাহ্ মাশুক নাঈম, দোয়ারাবাজার
আসন্ন ঈদুল আজহা কুরবানির ঈদ সামনে রেখে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় পশুর হাটগুলোতে উঠতে শুরু করেছে কুরবানির পশু। খামারগুলোতে চলছে কুরবানির পশুর শেষ মুহ‚র্তের পরিচর্যা। খামার মালিকরা জানিয়েছেন, খাদ্য, ওষুধ ও বিদ্যুতের দামের পাশাপাশি শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির কারণে গত বছরের তুলনায় এবার পশুর দাম চড়া যাবে। তবে সীমান্তবর্তী এই উপজেলায় সীমান্ত দিয়ে
অবৈধ পথে ভারতীয় গরু আসায় বাজারে বিক্রেতা বেশি ও ক্রেতা কম হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন উপজোর ছোট-বড় খামারিরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ইমান আল হোসাইন জানান, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ছোট-বড় নিবন্ধন -অনিবন্ধিত মিলিয়ে গরুর খামার রয়েছে ৫৫টি। খামার ও কৃষক মিলিয়ে এবার দোয়ারাবাজার উপজেলায় কুরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে ১৭ হাজারের বেশি। চাহিদা রয়েছে ১৬ হাজার। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে উপজেলায় ৮ টি পশুর হাটের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
দোয়ারাবাজারের জোহান এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর ২৫ কেজির খাবারের দাম ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা ছিল। এখন দাম বেড়ে হয়েছে ১৬০০-১৯০০ টাকা। শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে ২০ শতাংশ। তা-ও দক্ষ শ্রমিক পাওয়া যায় না। ওষুধের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ।
খামারি ও কৃষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, পছন্দের ওপর ভিত্তি করেও দাম ওঠে পশুর। এবার স্থানীয় বাজারগুলোতে গতবছরের তুলনায় ভালো গরু উঠলেও সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসায় বাজারে ক্রেতাদের সংখ্যা খুবি কম। এতে আশানুরূপ লাভের চেয়ে ক্ষতির দিকটায় বেশি দেখছে খামারিরা।
বাংলাবাজার এলাকার কৃষক নুর মোহাম্মদ জানান, প্রতিবছর নিজ গোয়ালের গরুর সঙ্গে বাজার থেকে কয়েকটি কিনে ঈদে বিক্রির জন্য তৈরি করেন। এবার বিক্রির জন্য তাঁর ৯টি গরু আছে। নিজস্ব খড়, কুঁড়া ও ঘাস থাকায় তাঁদের খরচ একটু কম পড়েছে। তবুও বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। উপজেলা ছোট- বড় আরও একাধিক খামার মালিক বলেন, গত বছর গরুর মাংসের কেজি ছিল সাড়ে ৭০০থেকে ৭৫০ টাকা। এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসা খরচ বেড়ে যাওয়াতেই কেজিপ্রতি ১০০ টাকা দাম বেড়েছে। তাই কুরবানির পশুর দামও বেশি পড়বে। ঈদের ক্ষন ঘনিয়ে আসলেও ভারতীয় গরু আসায় বাজারে বিক্রেতাদের চেয়ে ক্রেতা কম থাকায় গরু নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ইমান আল হোসাইন বলেন, উপজেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে কুরবানির পশু রয়েছে। কুরবানি ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম দেওয়া হয়েছে। সুতরাং আমাদের এখানে ভারতীয় গরুর কোন প্রয়োজন নেই।