সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা
সুনামগঞ্জের বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলার সুরমা নদী, সীমান্ত এলাকার খাসিনারা নদী, চেলা নদী, চলতি নদীসহ সব নদ-নদীর পানি বেড়েছে। পানি বাড়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে জনমনে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এখন বর্ষা মৌসুম, এই সময়ে হাওর-নদীর পানি বৃদ্ধি পাবে। তবে এখনো বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই। সোমবার (৬ মে) সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার অন্তত ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর পানি ৭.৮০ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলে বিপৎসীমা অতিক্রম করে। দুপুরে ষোলঘর পয়েন্ট দিয়ে পানি বিপৎসীমার ৪.৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাউবো আরও জানায়, যেহেতু এখনো সব হাওরে পানি অল্প তাই বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে সময় লাগবে। নদীর পানি হাওরে প্রবেশ করবে, হাওর ভরে তারপর বন্যা হওয়ার সুযোগ থাকবে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুরের বাসিন্দা আক্কাস মিয়া বলেন, ‘২০২২ সালের পর সামান্য পানি দেখলেই ভয় লাগে তবে এখন নদীতে যে পানি আছে তাতে বন্যা হওয়ার খুব একটা সুযোগ নেই। কারণ, এখনো সব হাওর খালি, হাওরের বাঁধ কেটে দিলে সব পানি হাওরে ঢুকে যাবে। তাই বন্যা হতে দেরি আছে।’
একই গ্রামের আরেক বাসিন্দা তামিম মিয়া বলেন, ‘সুনামগঞ্জের মানুষ ২০২২ সালের বন্যার পর থেকেই আতঙ্কে থাকেন। সামান্য পানি হলেই ভয় পান। তবে যেভাবে সুনামগঞ্জে প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে তাতে নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। একইভাবে ভারতের মেঘালয়েও বৃষ্টি হচ্ছে। তাই আবহাওয়া কী বলে না বলে সেটা দেখার সুযোগ নেই। বন্যা হলে মানুষের কষ্টের শেষ থাকে না। আমরা দোয়া করি যাতে বন্যা না হয়।’ সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার বলেন, ‘সুনামগঞ্জে বেশিরভাগ হাওর এখনো খালি। তাই নদ-নদীতে যে পানি হচ্ছে তাতে আতঙ্কের কিছু নেই। বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে আরও সময় লাগবে।’ তারপরও সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার আহŸান জানান তিনি।