সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্তে গরু ও মদ পাচার করাকে কেন্দ্র করে চোরাচালানীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আরো ১ চোরাচালানীকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় বিএসএফ। এই ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার রাত ১০টায়। মৃত চোরাচালানীর নাম-রাজেস (২৫)। তিনি ভারতের শীলং জেলার ঘুমাঘাট থানার অন্তগত নলিকাটা এলাকার বাসিন্দা। আর আটককৃত চোরাচালানীর নাম-ফিরোজ মিয়া (২৭)। তিনি উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের বড়গোফ বারেকটিলা গ্রামের চান্দু মিয়ার ছেলে। জানা যায় সোমবার রাত ৯টায় ২০-৩০জন চোরাচালানী চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্তের মাঝে অবস্থিত বারেকটিলা দিয়ে ও যাদুকাটা নদী দিয়ে প্রায় ৫ শতাধিক লোককে কয়লা ও পাথর পাচারের জন্য ভারতে পাঠানো হয়। পরে রাত ১০টার সময় চোরাচালানীরা ভারতে ভিতরে গিয়ে মদ ও গরু পাচারের হিসাব-নিকাশ ও ভাগভাটোয়ারা নিয়ে দুই গ্র“প সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় চুরিকাঘাতে চোরাচালানী রাজেস গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে বিএসএফ এসে চোরাচালানী ফিরোজ মিয়াকে ধরে নিয়ে যায়। আর অন্যান্য চোরাচালানীরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এবং আশংকাজনক অবস্থায় চোরাচালানী রাজেসকে উদ্ধার করে ভারতের শীলং স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় পথের মধ্যে তার মৃত হয়। এর আগে বালিয়াঘাট সীমান্তে চোরাচালানী জিয়াউর রহমান জিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, কালাম মিয়া, রতন মহলদার, মানিক মহলদার, হাসান আলী ও তিতু মিয়ার নেতৃত্বে চোরাচালানের সময় ট্রলি নিচে পৃষ্ট হয়ে ১জনের মৃত্যু হওয়াসহ চোরাই কয়লার গুহায় চাপা পড়ে ৩জনের মৃত্যু হয়।
সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক নাসির উদ্দিন বলেন, মদ পাচার নিয়ে চোরাচালানীদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন আহত হওয়াসহ আর একজনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খরব পেয়েছি, এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।