রাজনগর সংবাদদাতা
মৌলভীবাজারের রাজনগরে পবিত্র শবে বরাতের দিনে পৃথক দুটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। ভাইয়ের কুড়ালের আঘাতে বড় ভাই ও ছুটিকাঘাতে অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একটি হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার উল্টরভাগ ইউনিয়নের হায়পুর গ্রামের আব্দুর রব মিয়ার ছেলে মো. হোসেন মিয়াকে (৩০) নিজ ঘরে তারই ছোট ভাই কলেজছাত্র আবুল হোসেন মুকিদ কুড়াল দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে হোসেন গুরুতর আহত হলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসাধীন অস্থায় দুুপুরে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
এদিকে, কি কারণে এ হত্যাকাÐ ঘটেছে- বিষয়টি জানা যায়নি। এ বিষয়ে পরিবারের কেউ মুখ খুলছেন না।
তবে স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, নারীঘটিত কারণে উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। এ কারনেই তাকে আঘাত করে হত্যা করা হতে পারে।
অপরদিকে, রাজনগরের মুন্সিবাজার ইউনিয়নের গয়াসপুর গ্রামের নোয়াব আলীর ছেলে সিএনজি অটোরিকশাচালক ছোয়াব আলীর (৪০) সাথে পাওনা টাকা নিয়ে একই ইউনিয়নের সোনাটিকি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সৈয়দ মনাফ আলীর ছেলে সৈয়দ কাশিম আলী (৩২) ও সৈয়দ কোহিনুর আলীর (২৭) বেশ কিছুদিন ধরে দ্ব›দ্ব চলছিল। রবিবার রাত ১০টার দিকে কিছু কেনাকাটা করতে মুন্সিবাজারে যান ছোয়াব আলীর ছেলে হৃদয় (২০)। এসময় উত্তরবাজার সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় তাকে মারধর করে কোহিনুর ও কাশেমসহ আরো কয়েকজন। খবর পেয়ে হৃদয়ের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। বিষয়টি নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে ছোয়াব আলীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে কোহিনুর ও কাশিমসহ তাদের সঙ্গীরা। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে রাজনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাÐের মূল হোতা কোহিনুর ও কাশিমকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়।
এ দুটি হত্যাকাÐের বিষয় নিশ্চিত করেছেন রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মির্জা মাজহারুল আনোয়ার। তিনি বলেন- দুই ঘটনায়ই হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।