তাহিরপুর সংবাদদাতা
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে রাতের আধারে ঘুমন্ত স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার ভোররাতে উপজেলার শ্রীপুর (উত্তর) ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের এ ঘটনাটি ঘটে।
গুরুতর আহত দম্পতিরা হলেন, উপজেলার শ্রীপুর (উত্তর) ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের মৃত সুলু মিয়ার ছেলে নাছির মিয়া (৩০) ও তার স্ত্রী সাবানা আক্তার (২৪)। জানা যায়, একই গ্রামের ফরহাদ মিয়ার ছেলে আতাউর রহমানের সঙ্গে আহত নাছির মিয়ার বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত কিছুদিন পূর্বে নাছিরের স্ত্রীকে একা পেয়ে আতাউর মারপিট করে। পরে নাছিরের স্ত্রী সাবানা আক্তার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী হায়দারের কাছে বিচারপ্রার্থী হন। নাছিরের স্ত্রী কেন চেয়ারম্যানের কাছে বিচারপ্রার্থী হয়েছেন তার জন্য আতাউর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েকদিন ধরে ধারালো দা নিয়ে হুমকি দিয়ে আসছিল এই দম্পতিকে।
শুক্রবার রাতের খাবার খেয়ে এই দম্পতি নিজ বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়লে হঠাৎ শনিবার ভোররাতে ঘরে কৌশলে প্রবেশ করে আতাউর ধারালো দা দিয়ে দম্পতিদের এলোপাতাড়ী কুপাচ্ছেন। পরে তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে আতাউরের কবল থেকে তাদের উদ্ধার করে তাহিরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা এই দম্পতির অবস্থা অবনতি দেখে শনিবার সকালে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেপার্ড করেন।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: মির্জা রিয়াদ হাসান বলেন, আহত দম্পতির শরীলের একাধিক স্থানে দায়ের কোপ রয়েছে। মহিলার অবস্থা সংকটাপন্ন। তার হাতের আঙ্গুল কেটে পড়েছে, মাথায় এবং হাতে দায়ের কোপ রয়েছে। আহত দম্পতির অবস্থা জটিল হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাটিয়েছি। অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে আটক করতে পুলিশ চেষ্টা করছে।