কাজির বাজার ডেস্ক
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গ্রিস উপক‚লে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেছেন, এটা ভয়ংকর ঘটনা। ৭৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছে। এ ভয়ংকর প্রাণহানির ঘটনায় মানুষ পাচারকারীদের বিচারের আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এটাও পরিষ্কার করেছে যে সাগরে অনুসন্ধান ও উদ্ধার ‘আইনি ও মানবিকভাবে অপরিহার্য’। যোগ করেন লরেন্স।
নিখোঁজদের সন্ধানে সাগরে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। ১৩ জুন গভীর রাতে দক্ষিণ গ্রিসের উপক‚লীয় শহর পাইলোস থেকে প্রায় ৫০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে আন্তর্জাতিক জলসীমায় নৌকাটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে গ্রিসের কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এ ঘটনায় ৭৯ জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানায় গ্রিসের কোস্টগার্ড।
গ্রিসের তত্ত¡াবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আইওনিস সারমাস বলেছেন, নৌকাটি কী কারণে ডুবেছে তা নির্ধারণ করতে ‘বাস্তব তথ্য’ ও ‘প্রযুক্তির ভিত্তিতে’ তদন্ত করে দেখা হবে।
নৌকাটি ডুবেছে গ্রিসের পাইলোস শহর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে। গ্রিসের গণমাধ্যম ইআরটি জানায়, কর্তৃপক্ষ স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে ওই নৌকাটির সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে তারা কোনো সাহায্য নিতেও অস্বীকৃতি জানায়। তারা বারবার বলে, ‘আমরা ইতালিতে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই চাই না।’
এর কয়েক ঘণ্টা পর স্থানীয় সময় রাত প্রায় ১টার দিকে নৌকা থেকে কেউ একজন গ্রিসের কোস্টগার্ডকে বার্তা পাঠায় যে, তাদের জলযানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে। এর কিছুক্ষণ পরই নৌকাটি উল্টে যায় এবং ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যায়।
এরপরই তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু হলেও প্রবল বাতাসের কারণে উদ্ধার কাজ চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।