সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যে এই দেশে কাজ করতে পারবে না সেটা তারা নিজেরাই স্বীকার করেছেন। যেভাবেই কমিশন গঠন হোক না কেন তাদের পক্ষে অবাধ, সুষ্ঠু আর নিরপেক্ষ নির্বাচন করার সুযোগ নেই। কারণ তারা সরকারের নির্দেশ মানতে বাধ্য। এখন বাংলাদেশে যে পদ্ধতি আছে সেটা অলিখিত বাকশাল। দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। দিনের ভোট রাতে হয়। এই প্রেক্ষিতে আমাদের আন্দোলনের লক্ষ্য হচ্ছে একটাই, একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন করে নতুন একটি নির্বাচন কমিশনের অধীন নির্বাচন আয়োজন করা। সেই নির্বাচনে দেশের মানুষ যাকে ভোট দেয় সেই দেশ পরিচালনা করবে।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের একটি রেস্টুরেন্টে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, যে কোন মর্মে আমাদের সিলেট গণসমাবেশ সফল করতে হবে। সর্বশেষ বরিশালে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা আমাদের ধরে রাখতে হবে। বরিশালের গণসমাবেশ সফলের কিছু দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ভাবে আপনারা সিলেটের মানুষ অনেক অগ্রসর এমনকি আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আশে পাশে আপনাদের এলাকার লোকের বসবাস। সমাবেশ সফল করতে তাদের সহযোগিতা চান। নতুবা আমাদের বলেন আমরা আপনাদের পক্ষের তাদের সমাবেশ সফল করতে সহযোগিতা করতে বলবো।
১৯ নভেম্বর অঅনুষ্ঠেয় বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণ-সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে এই সভা আয়োজন করা হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নূরুল ইসলাম নূরুলের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত হাসান জীবন, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, সাবেক এমপি ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজির হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি দেওয়ান জয়নুল জাকরীন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভার নেতার বক্তব্য দেন।