শ্রীমঙ্গলের শরতের শুভ্রতা কাশফুল পর্যটকদের আকর্ষণ করছে

15

পিন্টু দেবনাথ কমলগঞ্জ থেকে :
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের দেখা মেলে কাশবনের কাশফুলে।
চারিদিকে উঁচু-নিচু পাহাড়। পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে গেছে ছড়া। ছড়ার দুই পাশে জেগে উঠেছে ধূ-ধূ বালুচর। আর এই বালুচরে দোল খাচ্ছে কাশফুল। ছড়াচ্ছে শ্বেত শুভ্রতা। নীল আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা মেঘের ভেলা। পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে রয়েছে সবুজ চায়ের বাগান।
শ্রীমঙ্গলের ভুরভুড়িয়া চা বাগানের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত প্রাকৃতিক ছড়ার পাড়ে ফুটেছে কাশফুল। এর অবস্থান শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ভানুগাছ সড়কের বেলতলী এলাকায়। শরতে প্রকৃতির এই অনিন্দ্য সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই কাশবনে এসে ভিড় করছেন পর্যটকরা। মুগ্ধ হচ্ছেন প্রকৃতির স্নিগ্ধ কোমল মোহনীয় রূপ দেখে।
ছড়ার দুই পাড়ে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কাশফুল ফুটেছে। আর এই সাদা কাশফুলকে ঘিরে আছে সবুজ প্রকৃতি। দূূর থেকে দেখলে মনে হয় এ যেন সবুজের বুকে সাদা চাদর বিছানো। না কী কোন শিল্পীর হাতে আঁকা ছবি! মনের এই ভ্রম ভেঙে যায় একটু কাছে গেলেই। স্থানীয় প্রকৃতিপ্রেমী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা সড়কে গাড়ি রেখে পাহাড়ের ঢাল দিয়ে নেমে যাচ্ছেন কাশবনে। পা ভিজিয়ে নিচ্ছেন ছড়ায় স্বচ্ছ পানিতে। প্রিয়জনদের সাথে নিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছেন ছড়ার জেগে উঠা বালুচরে। কেউ পাহাড়ে উঠে সখ্যতা করছেন কাশফুলের সাথে। কেউবা আনন্দে হারিয়ে যাচ্ছেন কাশবনে। কেউ তুলছেন ছবি। আর ছড়ার পানিতে নেমে ছোটাছুটি করছে পরিবারের সাথে আসা শিশু-কিশোররা।
এই কাশফুল শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের জন্য বাড়তি একটি আকর্ষণ তৈরি করেছে।