কাজিরবাজার ডেস্ক :
মার্চের শুরু থেকেই ঊর্ধ্বগতিতে থাকা ডায়রিয়ার সংক্রমণ কোনভাবেই কমছে না। মার্চ গিয়ে এপ্রিলের মাঝামাঝি চলে আসলেও এখনও প্রতিদিন ১ থেকে দেড় হাজার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআর’বি) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন। আইসিডিডিআর’বিতে জায়গা না পেয়ে অনেকে আবার রাজধানীর অন্য হাসপাতাল গুলোতেও ভিড় জমাচ্ছেন। ক্রমবর্ধমান ডায়রিয়ার এই প্রকোপ রোধে এবার আক্রান্ত এলাকাগুলোতে কলেরা টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যেসব এলাকার মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন তালিকা ধরে এসব এলাকার অন্তত ২৩ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হবে। এসব এলাকার শুধু গর্ভবতী ছাড়া ১ বছর বয়সের ওপরে সবাইকে এ টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। শুধু তাই নয়, ঊর্ধ্বমুখী ডায়রিয়ার চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়ার ওয়ার্ড চালুর পাশাপাশি অন্য হাসপাতালগুলোও প্রস্তুত বলে জানিয়েছে অধিদফতর।
বুধবার দেশের চলমান ডায়রিয়া সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ নাজমুল ইসলাম। তিনি জানান, দুই ডোজের এই টিকা কর্মসূচীর প্রথম ডোজ দেয়া হবে মে মাসে। সব মিলিয়ে ২৩ লাখ ডোজ টিকা দেয়া হবে। এর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে জুনে।
প্রথম ধাপে রাজধানীর পাঁচটি এলাকায় এই টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই এলাকাগুলো হলো যাত্রাবাড়ী, দক্ষিণখান, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও সবুজবাগ। টিকা গ্রহণের প্রক্রিয়া কেমন হবে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, টিকা কার্যক্রমটি নিয়ে আমরা এখনও কাজ করছি। এই টিকা গ্রহণ করতে হলে আলাদা কোন নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। নির্দিষ্ট তারিখ ও কেন্দ্র বাছাই হলে সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে। নিকটস্থ কেন্দ্রে গেলেই মিলবে টিকা।
ডায়রিয়া রোগীদের সুস্থ ব্যবস্থাপনায় এবং ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে ডাঃ নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, ডায়রিয়া রোগীদের সুস্থ ব্যবস্থাপনার জন্য হাসপাতালগুলোতে অতিরিক্ত বিছানার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ড চালু করা হচ্ছে। ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসায় চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ৬০ জনের বেশি চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।