শিপন আহমদ ওসমানীনগর থেকে :
করোনা পরিস্থিতি সারা দেশের ন্যায় ওসমানীনগরেও বিরাজ করছে অচালাবস্থা। এতে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে বের হতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। ফলে গোটা উপজেলার নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষরা পড়ছেন চরম বিপাকে। (টিসিবি) ডিলার গোয়ালাবাজারস্থ মা বাণিজ্যালয়ের স্বত্ত্বাধিকারী বেলাল আহমদ ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের।
সরেজমিনে গিয়ে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার প্রধান প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র গোয়ালাবাজার ও তাজপুর ছাড়াও প্রতি হাট বাজারেই সপ্তাহে একদিন ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি। সোমবার দুপুরে উপজেলার গোয়ালা বাজারের এসব পণ্য কিনতে নিম্ন ও মধ্যে আয়ের মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ৭৩০ টাকায় ৫ লিটার তৈল, ২ কেজি চিনি, ১ কেজি ছোলা, ১ কেজি খেঁজুর, ১ কেজি ডাল ক্রয় করতে পারছেন সাধারণ ক্রেতারা। সংকটকালিন সময়ে টিসিবির পণ্য পেয়ে খুশি ক্রেতারাও। এ সময় ক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়।
গোয়ালা বাজারের ব্যবসায়ী ক্রেতা মিশন চন্দ্র জানান, কারোনা ভাইরাসে প্রতিরোধে গৃহবন্দি থাকায় আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের। এমন অবস্থায় কিছুটা কম দামে টিসিবির পণ্য পাওয়ায় সাধারণ মানুষের উপকার হয়েছে। ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আলাউর রহমান আলা বলেন মহামারির প্রতিরোধে অসহায় দুস্থ মানুষজন আজ গৃহবন্দি। এই সময়ে নিত্যপণ্য দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের এমন উদ্যোগে সাধারণ মানুষ মহাখুশি। আমাদের দাবি এটা চলমান থাকবে। এছাড়া উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র গোয়ালাবাজারে আসা ক্রেতাদের জন সমাগমের কথা মাথায় রেখে প্রতিদিন টিসিবির পণ্য বিক্রি করার ব্যবস্থা করা হয় এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ডিলারদের আহব্বান জানান। টিসিবির ডিলার মা বাণিজ্যালয়ের স্বত্ত্বাধিকারী গোয়ালাবাজার ইউপি সদস্য বেলাল আহমদ জানান, সংকট মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। শুক্রবার ব্যতিত প্রতিদিনই উপজেলার যেকোনো একটি বাজার এলাকায় টিসিবির’র পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট বাজারে আমরা সপ্তাহে একদিন ন্যায্য মূল্যে টিসিবির মাল বিক্রি করে আসছি। গৃহবন্দি লোকজনের মধ্যে টিসিবির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সরকার টিসিবির আমাদের মাধ্যমে এসব পণ্য সামগ্রী বিক্রয় শুরু করায় উপজেলায় বাজারে দ্রব্যে মূল্যের দাম অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে। রমজান মাসে দ্রব্যেমূল্যের দাম ঠিক রাখতে এর যোগান আরও বৃদ্দি করা জরুরী।