স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীতে দফায় দফায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। বর্তমানে বাজারে চাল, পেঁয়াজ, তেল, মুরগিসহ বেশিরভাগ পণ্যই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। অনেকে ক্রেতাই বাজারে পণ্য কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন।
শুক্রবার ৭ জানুয়ারি নগরীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায়।
নগরীর আম্বরখানা এলাকার ব্যবসায়ী তারেক মিয়া বলেন, ব্রয়লার মুরগি দাম শুধু বাড়ছেই। বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় দাম বেড়েছে বলে জানান তিনি।
মারুফ তালুকদার নামে এক ক্রেতা বলেন, বর্তমানে সব নিত্যপণ্যের দাম চড়া। তেল, পেঁয়াজ ও চালের দাম আমাদের মতো ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এভাবে দাম বৃদ্ধির কারণে সীমিত আয় দিয়ে সংসার চালানো কঠিন। বিভিন্ন মোদিদোকান ঘুরে দেখা গেছে, সিলেটে কোম্পানি ভেদে সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা থেকে ১৬০ টাকায় আর পাম অয়েল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল (স্বর্ণা-ইরি) বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকায় আর মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা কেজিতে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে, দেশি পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। দেশি রসুন ৬০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি আলু ২০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, বাধাকপি ৩০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, শিম ৪০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবু ২০ থেকে ৩০ টাকা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, সবজির দাম কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও মাছ-মাংসের বাজার অস্থির। পাঙ্গাশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। কই মাছ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, চিংড়ি মাঝারি ৫০০ টাকা, রুই মাছ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুরগির ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৭০ টাকা থেকে ৫৮০ টাকা কেজিতে।