আমাদের দেশের প্রতিটি উপজেলা ও পৌর এলাকার স্বাস্থ্য সেবা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা। ফলে প্রতিটি পৌর এলাকার নাগরিকরা জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন। উপজেলা সদরসহ পৌর এলাকার স্বাস্থ্য বিভাগের তৎপরতা জোরদার নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারি করোণায় আক্রান্তের সংখ্যাও কম নয়। সারা দেশের উপজেলা ও পৌর এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার, মেয়র এবং কাউন্সিলররা আক্রান্ত হচ্ছেন। শুধু চেয়ারম্যান, মেম্বার ও মেয়র ও কাউন্সিলর নয় সাধারণ মানুষ ও মহামারি করোনায় আক্রান্তের পাল্লা যেমন ভারী হচ্ছে, তেমনি মৃতের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অনেকের মতে কোভিট-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান, মেম্বার ও পৌর এলাকার মেয়র ও কাউন্সিলর সহ সাধারণ নাগরিকরা বেশী, তার কারণ হিসাবে বলা যায়, উপজেলা সদর ও পৌর এলাকার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। কোভিট-১৯ করোনা প্রতিরোধে উপজেলা সদরসহ পৌর এলাকায় প্রশাসনিক তৎপরতা খুবই নাজুক। উপজেলা সদর ও পৌর এলাকায় করোনা ভাইরাস সংক্রমিককে কোন পাত্তা দিচ্ছে না বলে মনে হয়। উপজেলা সদর সহ পৌর এলাকায় কেহ করোনা ভাইরাস সংক্রমিক রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বা যানবাহনে চলাচলের কোন নিয়ম-নীতি মানার তোয়াক্কা করছে না।
সম্প্রতি পবিত্র ঈদুল-আযহার পরবর্তী মুহূর্তে কোভিট-১৯ করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে যে সব নিয়ম-নীতি মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, এ সব সরকারী নির্দেশনার এক ভাগ ও বাস্তবায়িত হচ্ছে না বলে মনে হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলা সদরসহ পৌর এলাকায় সাধারণ মানুষের প্রচন্ড ভীড়ের চাপ দেখলে মনে হয় করোনা ভাইরাস রোধে কোন প্রকার বিধি নির্দেশ মেনে নিচ্ছে না কেউ?
কোভিট-১৯ করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে সরকার বিভিন্ন নির্দেশনায় ঘর থেকে বের হলেই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক, দূরত্ব রাখতে যানবাহনে চলাচলে ৬০% ভাড়া বৃদ্ধি করা সহ বিভিন্ন নিয়ম-নীতি প্রয়োগ করলে ও কতটুকু মানা হচ্ছে, তা দেখার কেহ নেই। তাই করোনা রোধে সর্বত্র সমাজিক ভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করার বিকল্প নেই।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ঘরের বাহিরে সর্বত্র মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ প্রদান করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
কোভিট-১৯ করোনা ভাইরাস রোধে সর্বত্র সচেতনতা সৃষ্টি সহ মাস্ক ব্যবহারে আগ্রহী করে তোলা আমাদের সকলের দায়িত্ব।