স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীতে মো: রাহেল মিয়া (৩৫) নামের এক যুবককে অপহরণ করে অর্ধ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও তার কাছে থাকা নগদ ৮ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন সেট লুট করে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর কুয়ারপাড়ে অপহরণ এবং ওসমানী হাসাপাতাল ও জালালাবাদ এলাকায় মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা ঘটে।
অপহরণের শিকার মো. রাহেল মিয়া ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর গ্রামের মৃত আনা মিয়ার পুত্র। তিনি বর্তমানে দক্ষিণ সুরমার কাইস্তরাইল এলাকার হান্নান মিয়ার বাসায় ভাড়াটে থাকেন। এ ঘটনায় তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ, মো: রাহেল মিয়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরীর জিতু মিয়ার পয়েন্ট থেকে রিকশাযোগে জিন্দাবাজার যাওয়ার পথে কুয়ারপাড় সংলগ্ন মেইন রোডে ৩টি মোটরসাইকেলযোগে অজ্ঞাত পরিচয় ৯/১০ জন লোক তার পথরোধ করে তাকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মেরে একটি মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। রাহেলের পেটে চাকু ধরে অপহরণকারীরা তাকে প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশঘরের সামনের খালি মাঠে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। এসময় তার কাছে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। প্রাণের ভয়ে রাহেল এসময় ৩০ হাজার টাকা দিতে সম্মত হন। তিনি তার ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে অপহরণকারীদের দুটি মোবাইল ফোন নাম্বারে ৩০ হাজার টাকা প্রেরণ করান। এই ৩০ হাজার টাকা পাওয়ার পর অপহরণকারীরা রাহেলকে ওসমানী হাসপাতাল এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জালালাবাদ থানার রন্দনকাব্য রেস্টুরেন্টের পাশের রাস্তায় নিয়ে গিয়ে আরেক দফা মারধর করে এবং আরও ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। রাহেল বাধ্য হয়ে আরও ২০ হাজার টাকা অপহরণকারীদের দুটি মোবাইল ফোন নাম্বারে প্রেরণ করান। পরে অপহরণকারীরা রাহেলের ব্যবহৃত ২০ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন ও তার সঙ্গে থাকা ৮ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে তাকে একটি মোটরসাইকেলযোগে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের তেমুখী পয়েন্টে নিয়ে এসে বন্দরবাজারগামী একটি সিএনজি অটোরকশায় তুলে দেয়। পরে রাহেল তার ফুফাতো ভাইয়ের সাহায্যে বাসায় ফেরেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, রাহেল মিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। এখনও কাউকে আটক করা যায়নি, তবে অপরাধীদের আটকের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।