দুর্গাপূজার আগে ঘোষিত মজুরি ও বোনাস দেওয়া হবে -চা বোর্ড চেয়ারম্যান

17
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটে মিলনায়তনে টি টেস্টিং এন্ড কোয়ালিটি কন্টোল প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন মেজর জেনারেল মো: আশরাফুল ইসলাম।

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, দুর্গাপূজার আগে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সব চা বাগানে চা শ্রমিকদের ১৭০ টাকা মজুরিসহ বোনাস দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে চা বোর্ডের বাগানগুলোতে মজুরি ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়া শুরু হয়েছে। দেশে এখন চায়ের উৎপাদন ক্রমবর্ধমান পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার তুলনায় আমাদের চায়ের উৎপাদন বেশি হচ্ছে। আমরা এখন চিন্তা করছি চা রপ্তানির পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। সেজন্য আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছি।
রবিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটে মিলনাতনে টি টেস্টিং এন্ড কোয়ালিটি কন্টোল প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথি বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, চা রপ্তানির ক্ষেত্রে কোয়ালিটি চা উৎপাদনের কোন বিকল্প নেই। মূলত, আমাদের টি প্লান্টার’সগণ টি টেস্টিং বিষয়টি ইনফরমালি শিখে থাকেন। এ বিষয়ে এটাই প্রথম একটি ফরমাল কোর্স। এই কোর্সে অংশগ্রহণকারীরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে টি টেস্টিং বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন। চা শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত অংশীজনদের আন্তরিকতায় দেশের চা শিল্প উত্তর উত্তর সমৃদ্ধ হবে।
প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট’র ( পিডিইউ) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. এ. কে. এম. রফিকুল হক’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. ইসমাইল হোসেন এবং বাংলাদেশীয় চা সংসদের চেয়ারম্যান এম শাহ আলম, বাংলাদেশীয় চা সংসদ সিলেট অঞ্চলের চেয়ারম্যান ও ফিনলে ভাড়াউড়া ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার জি এম শিবলি। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফিনলে টি কোম্পানি চীফ অপারেটিং অফিসার তাহসিন আহমদ চৌধুরীসহ অনেকে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের শ্রীমঙ্গলস্থ প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটে (পিডিইউ) চা উৎপাদন এবং ব্যবসার সাথে জড়িতদের দক্ষতা উনয়নকল্পে পাঁচ দিনের এই প্রশিক্ষণ কোর্সে সিনিয়র টি প্লান্টার, ব্রোকার্স হাউজের অভিজ্ঞ টি টেস্টার, বিটিআরআই ও পিডিইউর বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে আগত চা শিল্পের সাথে জড়িত প্রায় ৩৪ জন অংশ নেন।