স্টাফ রিপোর্টার :
ওসমানীনগরে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবিএল) এটিএম বুথ ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৪ আসামীকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত ৪ আসামীকে সিলেট চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। এ সময় রিমান্ড শুনানী শেষে আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক মাহবুবুল হক ভূঁইয়া তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিপ্টন দেব এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আসামিদের ওই আদালতে তুলে ৭ দিনের রিমান্ডে পেতে আবেদন করা হয়। বিচারক তাদের ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হচ্ছে, শামীম আহম্মেদ, নূর মোহাম্মদ, আব্দুল হালিম ও সাফি উদ্দিন জাহির।
এর আগে সকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসপি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয় জাহিরকে। তিনি জানান, এটিএম বুথ লুটের সঙ্গে জাহির সরাসরি জড়িত এবং এ ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী। ওসমানীনগর উপজেলার শেরপুর পশ্চিম বাজারের ইউসিবিএল-এর এটিএম বুথে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভোররাতে ডাকাতির এই ঘটনা ঘটে। চার মুখোশধারী বুথে ঢুকে নিরপত্তাকর্মীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে ২৪ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা লুট করে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় মামলা করলে আসামিদের গ্রেফতারে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ইউনিটের কাছে সহযোগিতা চায়। তদন্তের পর ঢাকা থেকে নূর মোহাম্মদকে গ্রেফতার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হবিগঞ্জের হাওর এলাকা থেকে শামীম ও তার সহযোগী হালিমকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে গত বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামিরা জানিয়েছেন যে তারা ভারতীয় টিভি সিরিয়াল ‘সিআইডি’ দেখে লুটের এ পরিকল্পনা করেন। হারুন অর রশীদ বলেন, এই ডাকাতদলের প্রধান শামীম আহম্মেদ। ওমান প্রবাসী শামীম কয়েক বছর আগে দেশে ফেরেন। দেশে এসে তেমন কোনো কাজ-কর্ম করতেন না। প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন শামীম নিয়মিত ভারতের মেগা সিরিয়াল সিআইডি দেখতেন। সেখান থেকেই বুথ লুটের পরিকল্পনা করেন তিনি। ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার বলেন, ‘সিসি ক্যামেরায় কালো রংয়ের স্প্রে করা, মুখে কাপড় পেচিয়ে শাবল দিয়ে বুথ ভাঙা সবই ভারতের সিরিয়াল দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন তারা।’ তিনি জানান, লুটের দশ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাকি টাকা দিয়ে আসামিরা জুয়া খেলেছেন।