কমলগঞ্জের নান্দনিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পদ্মছড়া লেক পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে

18

পিন্টু দেবনাথ মৌলভীবাজার থেকে :
চারদিকে সবুজ পাহাড় আর উঁচু-নিচু টিলার সমাহার। দুটি পাতা একটি কুড়ির প্রাচুর্যে ভরপুর এক সমৃদ্ধময় কমলগঞ্জ। প্রকৃতির স্নিগ্ধতায় সিক্ত এই এলাকায় সৌহার্দ্যপূর্ণ ও মমতায় ভরপুর। বলা হয়ে থাকে কমলগঞ্জ প্রকৃতির এক জীবন্ত যাদুঘর। কমলগঞ্জ যেন পুরো বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। পর্যটনে বিপুল সম্ভাবনার কমলগঞ্জ। এ উপজেলার অনেক স্থানে অনাদরে অবহেলায় ছড়িয়ে আছে অনেক পর্যটন সম্ভাবনা। তাই হাঁটতে হাঁটতে এসব দৃশ্যেরই দেখা পাবেন আপনি, যদি যান মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে নতুনভাবে যুক্ত হওয়া পর্যটকদের আকর্ষণ কাড়ে ‘পদ্মছড়া লেক’।
কমলগঞ্জের অপরূপা এই লেকটি এখন বিনোদনের স্থান। বছরের যে কোনো সময়ে আনন্দভ্রমণ, পিকনিক বা বেড়ানোর জন্য বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজনদের নিয়ে যে কেউ আসতে পারেন পদ্মছড়া লেক। তবে এখনো দেশের অনেকের কাছেই অচেনা-অজানা এই ‘পদ্মছড়া লেকটি’। পাহাড়ের বুকের চিড়ে নিজের অস্তিত্ব নিয়ে মানুষের মাঝে প্রকৃতির সৌন্দর্য বিলিয়ে যাচ্ছে এটি।
এখানে এলে দেখতে পাবেন সবুজের সমারোহ, সবুজ পাতার গন্ধ। পলকেই আপনার মনকে চাঙ্গা করে তুলবে এই প্রকৃতি। আপনি বিমোহিত হয়ে মিলিয়ে যাবেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে। লেকের পানি, সুনীল আকাশ আর গাঢ় সবুজ পাহাড়, ছবির মতো চা বাগানের এই মনোরম দৃশ্য আপনাকে নিয়ে যাবে স্বপ্নের জগতে।
চারদিকে পাহাড়-টিলার মাঝখানে অবস্থিত লেকটি সত্যি অপূর্ব। প্রতিদিনই সৌন্দর্য পিপাসু পর্যটকরা আসছেন এখন পদ্মছড়া লেকে। তবে কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ পর্যটনের জায়গাটির দিকে নজর দিচ্ছে না। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে লেকটিকে আকর্ষণীয়ভাবে সংস্কার করা ও পর্যটকদের জন্য আরও উপযোগী করে গড়ে তোলা সম্ভব।
বেড়াতে আসা কমলগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি পিন্টু দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক নির্মল এস পলাশ, আহমেদুজ্জামান আলম, আব্দুল বাছিত খান, এলিসন সুঙ, আশরাফ সিদ্দিকী পারভেজ, সুমন আহমদসহ অনেকে বলেন, ‘আসলেই সৌন্দর্যের ভাণ্ডার নিয়ে যেন দাঁড়িয়ে আছে এই লেকটি। চারিদিকে সবুজের সমারোহ সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুণ। তারা আরও বলেন, এটি আসলেই দৃষ্টি নন্দন একটা লেক পর্যটনের অপার সম্ভাবনা এই পদ্মছড়া লেকটি। পাখির শব্দ মনকে উৎফুল্ল করে। শুধু বৈদেশিক আয়ই নয়, কমলগঞ্জকে তুলে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যথাযথ পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নিয়ে তা কার্যকর করতে পারলে আমূল পরিবর্তন আসবে।
৮নং মাধবপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোতাহের আলী বলেন, ‘পদ্মছড়া চা-বাগানের লেকে অনেক পর্যটক আসছেন। এটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি কল্পে রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে পর্যটকদের ঢল নামবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় হবে।