মজুমদারি থেকে দুই বোনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

14

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর মজুমদারি কোনাপাড়া নিজ বাসা থেকে ২ বোনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সিসিকের ৪নং ওয়ার্ডের ৩১ নং বাসার খোলা ছাদ থেকে তাদের লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হচ্ছেন, এয়ারপোর্ট থানার মজুমদারি কোনাপাড়া ৩১ নং বাসার মৃত কলিম উল্লাহর মেয়ে শেখ রানী বেগম (৩৮) তার বোন ফাতেমা বেগম (২৭)। দুই বোনের মধ্যে রানী নবম শ্রেণি এবং ফাতেমা মাস্টার্স পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন।
পুলিশ জানায়, শেখ রানী বেগম ও ফাতেমা বেগমদের পারিবারিক ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হরহামেশা ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। তাদের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয় কাউন্সিলর ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ একাধিকবার সালিশ বৈঠক করেছেন বলে জানা যায়। গত ২০ সেপ্টেম্বর রাত ৯ টার দিকে পরিবারের সবার অগোচরে নিজ বসতঘরের খোলা ছাদে পিলারের রডের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন শেখ রানী বেগম ও ফাতেমা বেগম।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, উদ্ধার হওয়া লাশগুলো ঘটনাস্থলে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে আশপাশের লোকজন গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬ টার দিকে থানায় সংবাদ প্রদান করেন। উক্ত বিষয়ে সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে তাৎক্ষণিক অফিসার ইনচার্জ খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকিরসহ এসআই (নিঃ) বুলবুল বিশ্বাস, এসআই (নিঃ) মফিজুর রহমান এবং সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শেখ রানী বেগম ও ফাতেমা বেগমের ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেন। পরে এসআই বুলবুল বিশ্বাস লাশ দুইটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। তাদের মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের নিমিত্তে ময়না তদন্তের জন্য লাশ দুইটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা উদঘাটনের নিমিত্তে প্রকাশ্য ও গোপনে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ মাইনুল জাকির বলেন, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দুই বোন আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।