কাজিরবাজার ডেস্ক :
মালয়েশিয়ায় বিদেশি নাগরিক প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেও শঙ্কায় রয়েছেন সাধারণ কর্মীরা। ছুটিতে থাকা কর্মীরা কবে প্রবেশ করতে পারবেন নেই কোনো নির্দেশনা। করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের ওপর আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া।
মালয়েশিয়ার মন্ত্রী পরিষদে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে ২০ সেপ্টেম্বর অভিবাসন বিভাগ একটি নোটিশ জারি করে। নোটিশে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকা, ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে প্রত্যাহারের বিষয়ে বাংলাদেশে মালয়েশিয়া হাইকমিশন একটি নোটিশ জারি করেছে। মিশন নোটিশে উল্লেখ করেছে, মালয়েশিয়া ভ্রমণের ক্ষেত্রে দেশটির স্থায়ী বাসিন্দা, দীর্ঘমেয়াদি পাসধারী, ব্যবসায়ী, ভ্রমণকারী এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে।
তবে কোম্পানির মালিক মাই ট্রাভেল অ্যাপের মাধ্যমে তার কর্মীকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসতে পারবেন।
এক্ষেত্রে বৈধ মালয়েশিয়ান ভিসা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণের প্রমাণপত্র এবং কোভিড-১৯ এর আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ থাকতে হবে।
এদিকে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী খায়রি জামালউদ্দিন বলেছেন, বিদেশি ভ্রমণকারীদের প্রবেশের ব্যাপারে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে।
এদিকে ছুটিতে থাকা কর্মীরা প্রবেশ করতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। ১৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান বলেছেন, বিদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় পুনরায় প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা আবার ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হবে।
তিনি বলেন, ছুটিতে থাকা বিদেশি সাধারণ শ্রমিক ও গৃহপরিচারিকা (মেইড) তারা কখন ফিরতে পারবেন সে বিষয়ে মালয়েশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
করোনা মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে শুরু হয় দেশটিতে সর্বাত্মক লকডাউন। এসময় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে যেসব কর্মী ছুটিতে কিংবা জরুরি প্রয়োজনে নিজ নিজ দেশে গিয়েছিলেন তারা আটকা পড়েছেন। ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে শুরু করে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত মাই ট্রাভেল পাস (এমটিপি) নামে একটি অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করে মালয়েশিয়ায় ছুটিতে থাকা কিছু কিছু কর্মী প্রবেশ করেছিলেন।
কিন্তু চলতি বছরের জুন থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় এমটিপির মাধ্যমে আবেদন করে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। দেশে আটকেপড়া অসংখ্য কর্মী যাদের বৈধ ভিসা ও পারমিট রয়েছে তারা কখন মালয়েশিয়ায় ফিরতে পারবেন বিষয়টি নির্ভর করছে মালয়েশিয়া সরকারের অনুমতির ওপর।