অভিযোগপত্র প্রদানের পর পেরিয়ে গেছে এক বছর ॥ দুর্গাকুমার পাঠশালায় হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ

47

স্টাফ রিপোর্টার :
প্রায় একবছর পর অভিযোগ পত্র প্রদান করলেও নগরীর বন্দরবাজারের দুর্গাকুমার পাঠশালা সরকারি স্কুলে বই বিতরণ উৎসব চলাকালে হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি বই উৎসব চলাকালে নামাজের সময় গান বাজানোর অভিযোগে ওই বিদ্যালয়ে হামলা চালায় একদল লোক।
এই হামলার মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফায়েজ উদ্দিন ফয়েজ। দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে তদন্ত করেও কোনও আসামি শনাক্ত করা হয়নি অভিযোগপত্রে। সে কারণে আদালত অভিযোগপত্রটি আমলে না নিয়ে পর্যালোচনায় রেখেছেন।
এ বছরের ১ জানুয়ারি দেশব্যাপী পাঠ্যপুস্তক উৎসবের অংশ হিসেবে দুর্গাকুমার পাঠশালা স্কুলেও বই বিতরণের উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানেই একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। এ ঘটনায় পরদিন ২ জানুয়ারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
১২ ডিসেম্বর পুলিশ আলোচিত্র এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল কলরেআদালতের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্রটি গ্রহণ হয়। এরপর ১৪ ডিসেম্বর আদালতের প্রসিকিউশন শাখা থেকে সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র (নং-৭৬/১৭) পাঠানো হয়।
কোতায়ালি থানার জেনারেল রেকর্ড অফিসার (জিআরও) নেহার রঞ্জন বলেন, ‘প্রসিকিউশন শাখার মাধ্যমে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হলেও এখনও তা আমলে নেননি আদালত। জানতে পেরেছি, আদালত অভিযোগপত্রটি পর্যালোচনা করছেন। এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেননি।’
দীর্ঘ প্রায় একবছর পর এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হলেও এতে এই হামলার জন্য কাউকে শনাক্ত করতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন, দুর্গাকুমার পাঠশালা স্কুলে এ বছরের ১ জানুয়ারি বই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর স্কুলের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষে নিয়ে বই বিতরণ করেন। দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট পর ১০/১৫ জন অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারী লাঠি নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে ব্যানার, চেয়ার ও মাইক ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। এই মামলার তদন্তে হামলা সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।