গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে ডাকাতি, অস্ত্র উদ্ধার ও গণপিটুনীতে ডাকাত নিহতের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের মিশ্রপাড়া গ্রামের জ্ঞান সেনের ছেলে দুলাল সেন বাদি হয়ে ৪/৫জনকে অজ্ঞাত আসামী করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় মামলা (নং-১৩/১২.০৯.২০২১) দায়ের করেছেন। এছাড়া গণপিটুনিতে ডাকাত আরিফ নিহতের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে ৩০০/৪০০জনকে অজ্ঞাত করে মামলা (নং-১৫/১৩.০৯.২০২১) দায়ের করেছে এবং আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে অস্ত্র আইনে আরও একটি মামলা (১৪/১৩.০৯.২০২১) দায়ের করেছে। এদিকে গত রোববার গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত সুহেল আহমদ (২২) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে বলে জানা যায়। গ্রেফারকৃত সুহেল গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের নগর ডেংরী গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঘটনায় জড়িত বাকীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এছাড়া ডাকাতের গুলিতে আহত ৬ জনের অবস্থা কিছুটা আশংকামুক্ত বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল করিম রাজু। এদিকে গণপিটুনিতে নিহত আরিফের লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সে গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের নগর ডেংরী গ্রামের মইন উদ্দিনের ছেলে। উল্লেখ্য গত শনিবার রাতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের দত্তরাইল গ্রামের মিশ্রপাড়ায় জ্ঞান সেনের বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দেয়। ডাকাতরা দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে জ্ঞান সেন ও তার স্ত্রী শক্তি রাণী সেনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে ফেলে। এ সময় বাধা দিলে ডাকাতরা জ্ঞান সেনের ছেলে দুলাল সেনকে মারধর করে আহত করে। ডাকাতরা জ্ঞান সেনের ঘর থেকে নগদ দুই লক্ষ টাকা, ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্রসহ কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতি শেষে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ভোর রাতের দিকে পশ্চিম দত্তরাইল জামে মসজিদে আশ্রয় নেয়। মসজিদের ইমাম বিষয়টি স্থানীয় মহল্লাবাসীকে অবগত করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ডাকাত দলকে ঘিরে ফেলে । এসময় গ্রামের লোকজন ডাকাতদের ধাওয়া করলে তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে ৬ গ্রামবাসী আহত হন। বাকি ডাকাতরা পালিয়ে গেলেও স্থানীয় লোকজন ডাকাত আরিফ আহমদকে ধরে গণধোলাই দিলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।