কাজিরবাজার ডেস্ক :
কাতার ও সৌদি আরব থেকে মোট ৬০ হাজার টন সার আমদানিসহ ৪৯৮ কোটি টাকার চার ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের গ্রীন সিটি আবাসিক কমপ্লেক্সের দুটি ভবনে পর্দা সরবরাহ ও স্থাপনের একটি এবং আদমশুমারির জন্য ৩ লাখ ৯৫ হাজার ট্যাব কেনার প্রস্তাব বাতিল করেছে সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রী সভা কমিটি।
বুধবার সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রী সভা কমিটির বৈঠকে সার আমদানির দুই প্রস্তাবসহ মোট চারটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন জানান, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) মাধ্যমে কাতারের কোম্পানি মোন্তাজাত থেকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে দ্বিতীয় লটে ৩০ হাজার টন প্রিল্ড ইউরিয়া সার ১১৭ কোটি ৬৫ লাখ ৬৫ হাজার ৯৯৫ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া সৌদি বেসিক ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন বা সাবিকের কাছ থেকে তৃতীয় লটে ৩০ হাজার টন গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১১৭ কোটি ৪৪ লাখ ২৫ হাজার ২৫৫ টাকায় কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ২০২২ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজী ভার্সন), অষ্টম ও নবম শ্রেণী, এসএসসি ভোকেশনাল, এবতেদায়ি (তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণী), দাখিল (অষ্টম ও নবম শ্রেণী) শ্রেণী এবং দাখিল ভোকেশনাল স্তরের এক কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার ৯৭১ কপি বই ছয়টি দরদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫৯ কোটি ৩৬ লাখ ৮১ হাজার ৮৪৪ টাকায় মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী এলাকায় নির্মাণাধীন এসএস পাওয়ার লিমিটেডের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য (পাওয়ার ইভাকুয়েশন) হাতে নেয়া একটি পিপিপিভিত্তিক প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় মাতারবাড়ি-বাঁশখালী ও মদুনাঘাট রুটে ৪০০ কেভির একটি ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণের কথা ছিল।
পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া জানান, ইতোমধ্যেই সেখানে আরেকটি বিকল্প লাইন স্থাপন হয়েছে। কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ স্থানান্তরে সেই লাইনকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাছাড়া প্রকল্পের কাজটি এখনও শুরু হয়নি।
এছাড়া সভায় বাস্তবায়নাধীন ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের গ্রীন সিটি আবাসিক কমপ্লেক্সে প্যাকেজের আওতায় পর্দা সরবরাহ এবং স্থাপনের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি দরপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে কারিগরিভাবে ১টি রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে একমাত্র রেসপনসিভ দরদাতা প্রতিষ্ঠান ইউরোশিয়া ফেল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ঢাকা এর কাছ থেকে পর্দা ক্রয় ও স্থাপন কাজের সুপারিশ করে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি। তবে দাম বেশি হওয়ায় প্রস্তাবটি বাতিল করেছে কমিটি। ১২৫০ বর্গফুটের ১টি ২০ তলা ভবন এবং ১টি ১৬তলা ভবনে ১৯৬টি ইউনিটের পর্দা সরবরাহ করার কথা ছিল। প্রতিটি ইউনিটে পর্দার জন্য ২ লাখ ৩ হাজার ৫৬৯ টাকা হিসেবে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৫৯ হাজার ৫৪৫ টাকা। সভায় জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১ প্রকল্পের আওতায় ট্যাবলেট ফর ক্যাপি (কম্পিউটার এ্যাসিস্টেড পারসনাল ইন্টারভিউইং) ফর মেন সেন্সাস ক্রয়ের একটি প্রস্তাবও ফেরত দিয়েছে কমিটি।