মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ

25

স্টাফ রিপোর্টার :
কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড থেকে ৭ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে আটক করে জালালাবাদ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় জনতা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাসস্ট্যান্ড এলাকাতে এক তরুণকে মারধোরকালে তাদের আটক করেন স্থানীয়রা।
এর আগে ভোরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের বিরোধের জেরে এম সি কলেজ হোস্টেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর দুপুরে বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে সংগঠনটির ৭ নেতাকর্মী আটকের ঘটনা ঘটলো। স্থানীয়রা বাসস্ট্যান্ডে ওই ৭ জনকে আটকে রেখে পুলিশকে অবগত করলে তারা এসে তাদের জালালাবাদ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তবে মারধোরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম জানা যায়নি। একটি সূত্র জানিয়েছে তিনি এম সি কলেজ হোস্টেলের আবাসিক শিক্ষার্থী। সকালে এমসি কলেজ হোস্টেল ভাংচুরের পর তিনি বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে নিজের গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এসময় তিনি হামলার শিকার হন।
আটকৃকতরা হচ্ছেন- সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার রতনশ্রী গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের পুত্র শাওন, সুনামগঞ্জ সদরের অচিন্তপুর এলাকার ইলিয়াস মিয়ার পুত্র রাফিজুল ইসলাম, জগন্নাথপুর উপজেলার কাজীপুর গ্রামের অরবিন্দ চৌধুরীর পুত্র নিউটন চৌধুরী, তাহিরপুর উপজেলার কালিজুড়ি রামনগর এলাকার আব্দুল হাসিমের পুত্র সোহাগ মিয়া, দিরাই উপজেলার কাউয়াজুড়ি গ্রামের আকিল আলীর পুত্র সুমন এবং মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ গ্রামের সুভাষ আচার্য্যরে পুত্র সৌরভ আচার্য্য। তারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে ছাত্রলীগের একটিসূত্র এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম ৭ তরুণ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি বলে জানান তিনি। তিনি বলেন- স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছেন।