স্টাফ রিপোর্টার :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউনে সরকার নির্দেশিত বিধিনিষেধ মানছে না মানুষজন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুরপাল্লার গাড়ী, অফিস-আদালত, মার্কেট শপিংমল খোলা না থাকলেও নগরীর রাস্তাঘাটে যান ও মানুষ জন চলাচলে ছিলো ঢিলেঢালা। পাশাপাশি খোলা রয়েছে দোকানপাটও।
এদিকে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা হিমশিম খাচ্ছে। তার পরেও মানুষ এসবের তোয়াক্কা না করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নগরীতে।
নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ-র্যাব ও সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে সচেতনতা মূলক মাইকিং করতে দেখা যায়। তাছাড়া গাড়ি নিয়ে বাইরে বের হলেও পুলিশের চেকপোস্টে হতে হচ্ছে নানা প্রশ্নের সম্মুখিন। তবে এই কড়াকড়ির মধ্যেও নানা অজুহাতে অনেকে শহরে আসছেন। আবার অনেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয়েছে। তবে অধিকাংশকেই চেকপোস্ট থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। আগের লকডাউনগুলো অনেকটাই ঢিলেঢালা ছিল। চলাচল নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর অবস্থান নিতে দেখা যায়নি। তবে এবার শুরু থেকেই বলা হয়েছিল, কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে মহড়া দিয়েছে মহানগর ট্রাফিক পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম । এছাড়া বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে পুলিশ। সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল অব্যাহত রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশেষ করে প্রধান সড়কে প্রয়োজন ছাড়া কাউকে চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন মোড়ে আছে পুলিশের চেকপোস্ট। রাস্তায় বের হওয়ার যৌক্তিক কারণ না দেখাতে পারলে তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে চেকপোস্ট থেকে। প্রতিটি মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত (প্রাইভেট কার) গাড়িকে দাঁড় করিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার কারণ বিষয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে। তবে মালবাহী গাড়িকে আগেই রাস্তা ফাঁকা করে দেয়া হচ্ছে চলাচলে।
চৌহাট্টা ও টুকেরবাজার তেমুখী পয়েন্টে দেখা যায়, চেকপোস্টে মোটরসাইকেল থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হবার কারণ জানতে চাচ্ছে পুলিশ। পরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেট আছে কিনা সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে। তবে যাদের কাছে কাগজপত্র পাওয়া যাচ্ছে না সেই মোটরসাইকেলগুলো আটক এবং চালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমএপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধকল্পে সরকার ঘোষিত লকডাউনকালীন কঠোর বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে সিলেট মহানগরীতে এসএমপির ক্রাইম ও ট্রাফিক ডিভিশন, ডিবি পুলিশ ও পুলিশ লাইন্স টিম যৌথভাবে বিভিন্ন স্থানে ৪৬টি চেকপোস্ট বসিয়ে দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। এছাড়া সকল থানা, ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রের ৯৭টি টহল টিম রাতদিন নিরলসভাবে কাজ করছে। তিনি আরো জানান, চেকপোস্টগুলোতে গাড়ি থামালে জরুরি নানা কাজের অজুহাত দেখাচ্ছেন অনেকেই। তবে যাত্রীদের জরুরি কারণ জেনেই তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে।