দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ চার ইউনিয়নবাসী দোয়ারাবাজারে শরীফপুর ব্রিজের নিচে ময়লার ভাগাড়

5

দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
দূর থেকে আবর্জনার স্তুপ দেখে মনে হয় খোলা ডাস্টবিন। দীর্ঘদিন ধরে এসব ময়লা আবর্জনা পচে গলে চারপাশে ছড়াচ্ছে অসহনীয় দুর্গন্ধ। শুধু ময়লা আবর্জনাই নয়, ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পরিবেশ বিধ্বংসি পলিথিন ও প্লাস্টিকের পরিত্যক্ত বোতল, বিপজ্জনক ভাঙা কাঁচসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য। একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে গিয়ে এসব মিশছে স্থানীয় কালিউড়ি ও সুরমা নদীর পানিতে। আর বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এসব নদীর দূষিত পানিতেই গোসল, রান্নাবান্না ও ধোঁয়ামাঝাসহ গৃহস্থালির কাজ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে বাতাস ও পানিবাহিত এসব বর্জ্য থেকে মানবদেহে ছড়াচ্ছে বিভিন্ন রোগ জীবাণু।
পরিবেশ দূষণের দৃষ্টিকটু এই দৃশ্যটি পরিলক্ষিত হয় খোদ সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা ফরেস্ট অফিস, মাছবাজার ও সিএনজি স্টেশন সংলগ্ন দোয়ারাবাজার-শরীফপুর ব্রিজের নিচে। জনবহুল সেতুগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। কালিউরি নদীর উপর স্থাপিত ওই ব্রিজটি সুরমা, লক্ষ্মীপুর, বগুলা ও বাংলাবাজার ইউনিয়নকে উপজেলা সদরের সাথে যুক্ত করেছে। ওই চার ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ ছাড়াও প্রশাসনের দায়িত্বশীলরাও নিয়মিত যাতায়াত করছেন ওই ব্রিজ দিয়ে। তা সত্বেও প্রশাসনিক কোনো বিধিনিষেধ না থাকায় জনবহুল ওই ব্রিজের গোড়ায় প্রতিদিনই বাজারের যাবতীয় বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। আর এ থেকে ছড়ানো অসহনীয় উৎকট দুর্গন্ধে পথচারীরা নাক চেপে দম বন্ধ করে কোনোমতে পারাপার হন ব্রিজ। তাই এহেন পরিবেশ বিধ্বংসি পরিস্থিতি রোধকল্পে ব্রিজের গোড়া থেকে বর্জ্য অপসারণসহ বর্জ্য ফেলা বন্ধ করে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে জোরদাবি জানিয়েছেন পথচারীসহ ভূক্তভোগি এলাকাবাসী।
ব্রিজ পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী এখলাছুর রহমান বলেন, ‘ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ ও মশা-মাছির উপদ্রবে দোকানে বেশিক্ষণ ঠিকে থাকা যায়না।’ পথচারী শিউলী বেগম বলেন, ‘দুর্গন্ধে বমিতে ভেতরের নাড়িভূড়ি বেরিয়ে আসতে চায়।’ সিএনজি চালক স্বপন মিয়া বলেন, ‘এখান থেকে বর্জ্য অপসারণ করা জরুরি। দুর্গন্ধে চলাফেরা অসহনীয়।’ উপজেলা সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির সহসভাপতি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘ আমরা চালক-যাত্রীরা সারাক্ষণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অস্বস্তিতে ভূগছি। কেননা সিরিয়াল চালকদের দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হয় স্টেশনে।অথচ ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে এক মুহূর্তের জন্যও এখানে স্থির থাকা যায়না। এসব দেখার কেউ নেই!’
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, ‘পরিবেশ দূষণের বিষয়টি দেখব। এখানে যাতে বাজারের বর্জ্য না ফেলা হয় সেজন্য শিগগির স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনায় বসা হবে।