স্টাফ রিপোর্টার :
শাহপরাণ থেকে এক রাজমিস্ত্রির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রবিবার সন্ধ্যায় শাহপরাণ থানার পূর্ব বাটপাড়ার একটি কলোনি থেকে সুমন আহমদ (২৭) নামের ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। গতকাল ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশটির ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি থানার গৌরিপুর গ্রামের মজনু মিয়ার পুত্র সুমন আহমদ শাহপরাণ থানার পূর্ব বাটপাড়া গ্রামের মুতাছির আলী কলোনিতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ভাড়াটে থাকতেন। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। তার ৩ বছরের এক মেয়ে ও ১ বছরের এক ছেলেসন্তান রয়েছে। সুমনের বাসার পাশেই শ্বশুরের বাসা।
সুমনের বাবার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সুমন ও তার স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিলো। গত এক সপ্তাহ আগে স্ত্রী বাবার বাসায় চলে যান। গত শনিবার রাতে সুমন শ্বশুরের বাসায় খেয়ে নিজ ঘরে এসে একা ঘুমিয়ে যান। রবিবার বিকেল পর্যন্তও দরজা না খুললে স্থানীয়রা জানালার ফাঁক দিয়ে ঘরের ভেতরে সুমনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। সন্ধ্যায় শাহপরাণ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দরজা ভেঙে টিনের চালের স্টিলের তীরের সঙ্গে ঝুলতে থাকা সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে। ওইদিন ভোররাতের কোনো একসময় গলায় ফাঁস দিয়ে সুমন আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশের ধারণা।
এ বিষয়ে শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, গত রবিবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে। গতকাল ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশটির ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
