স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীতে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর ও শাহজালাল উপশহর সি ব্লকের ৩৮নং রোডের ২নং বাসায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ও বিকেলে পৃথক এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। তবে অল্পের জন্য দু’টি বাসা বড় ধরণের হাত হতে রক্ষা পেয়েছে। পৃথক দু’টি বাসায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। মেয়রের কুমারপাড়াস্থ বাসায় বিদ্যুতের সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের এ সূত্রপাত হয়। বাসার লোকজন সাথে সাথে বিষয়টি দেখায় বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় মেয়র পরিবার।
গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মেয়র আরিফুল হকের বাসার অনেক ভেতরের একটি কক্ষে বিদ্যুতের বোর্ডে সর্ট সার্কিট হয়। এতে বিদ্যুতের ওই বোর্ডটি একাবারে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওই কক্ষে থাকতেন মেয়রের ছোট মেয়ে নাইফা। আগুন লাগার সময় সে কক্ষে ছিল না। বাহির থেকে সে কক্ষে এসে দেখে বিদ্যুতের বোর্ডে আগুন লেগেছে। সাথে সাথে বাসার লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। খবর পেয়ে সিটি কর্পোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী জয়দেব বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, বাসার একটি পুরাতন এসির বোর্ড থেকে সর্ট সার্কিট হয়। আগুন ধরার ফলে বাসার সিলিংয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারতো। কিন্তু বাসায় লোকজন থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের এ প্রকৌশলী আরো বলেন, যদি সকাল বেলা ঘুমের মধ্যে এ ঘটনা ঘটতো তাহলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।
এদিকে, গতকাল শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে শাহজালাল উপশহর সি ব্লকের ৩৮নং রোডের ২নং বাসার মালিক জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নগরী শাহজালাল উপশহরের বাসিন্দা শাব্বির আহমদের বাসায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা খুবই দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় বাসাটি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাসার মালিক শাব্বির আহমদ বলেন, আমি জুম্মার নামাজ থেকে এসে দেখি বাসার নিচে আগুন জ্বলছে। এসময় আমি এগিয়ে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টাকালীন সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হলে বেশ কিছু টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎতের বেশ কিছু লাইন ও বৈদ্যুতিক অনেক কিছুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, শাহজালাল উপশহরে ফায়ার সার্ভিসের নির্ধারিত স্থান থাকলেও এখনো সেখানে ফায়ার ব্রিগেড স্থাপন করা হয়নি। যেকোনো সময় বড় ধরনের অগ্নিকান্ড ঘটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তাই দ্রুত ফায়ার ব্রিগেড স্থাপন করার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।