জেড.এম.শাসসুল :
একাত্তরের ৫ এপ্রিল এইদিনে বাঙালি জাতির চিরশত্রু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত ও সম্প্রদায়িক গোষ্ঠি ঢাকায় পাকিস্তানের পক্ষে এক মিছিল ও মুক্তিযুদ্ধ ধ্বংস এমন কি বাঙালি নিধনে সর্বত্র “শান্তি কমিটি গঠনের মাধ্যমে দেশে লুটপাটের জন্যে হানাদার বাহিনীর ঘাতকদের সাথে বৈঠক করেছিল গোলাম আযমরা, একাত্তরে বাংলার মানুষ মহান স্বাধীনতার সংগ্রামে অবতীর্ণ সারা বাংলায় মুক্তিযুদ্ধে প্রস্তুতি চলছে, কোনো-কোনো স্থানে পাকিস্তানি হায়নার বাহিনীর সাথে মুক্তিযুদ্ধ ও গেরিলা মুদ্ধে বাংলার সূর্য সন্তানেরা যুদ্ধ করছে, যা সারাদেশে পাকিস্তানী হায়নার বাহিনী যখন বিভিন্ন দলের সাথে বৈঠক করে বাঙালি জাতি যুদ্ধে অবতীর্ণ সেই মুহূর্তে এদেশীয় দোসর গোলাম আযমরা তার সাম্প্রদায়িক চক্র নিয়ে ঢাকায় তাদের দোসরদেরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে মিছিল ও দোয়ার মাহফিল করে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম ও তার অনুসারি উগ্র মৌলবাদি সম্প্রদায়িক গোষ্ঠি বাঙালির মুক্তিযুদ্ধকে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ভারতীয় সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারিদের অবৈধ তৎপরতা বলে অভিহিত করে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অনেকটা বিষোদগার করেছিল। একাত্তরে গোলাম আযম ও তার অনুসারি সাম্প্রদায়িক চক্র যতসব অপকর্ম করেছিল তার অসংখ্য স্বাধীনতা বিরোধী অপকর্মের মধ্যে বেশ কয়েটি অপকর্ম ইতিহাসে প্রমান পাওয়া কয়েকটি নমুনা তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
একাত্তরের ৫ এপ্রিল এ দিনে গোলাম আযম ও তার অনুসারিরা পাকিস্তানি হায়নার বাহিনীর শিরোমণিদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হয়ে বাঙালি হত্যা, ধষণ ও লুটপাটে পাক বাহিনীকে সকল প্রকার সহায়তা করার জন্যে “শান্তি কমিটি” গঠনের পরামর্শ করেন। এর পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে ঐ কুখ্যাত শান্তি কমিটি গঠিত হয়। এর পর থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাকিস্তানী হায়নার বাহিনীর দোসর গোলাম আযমরাসহ মুসলিম লীগ, কনভেনশন মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামীসহ তাদের অঙ্গ সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংস্থা ছাড়াও সকল সাম্প্রদায়িক সংগঠন গুলো পাকিস্তানী হায়নার বাহিনীর সাথে যুক্ত হয়ে স্বাধীনতা বিরোধী অপতৎপরতা চালায়।
বাঙালি জাতি মার্চ মাস থেকে পাকিস্তানির বিরুদ্ধে অব্যাহত বিদ্রোহ প্রতিরোধ কোনো-কোনো স্থানে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছে, পাকিস্তানি হায়নার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলার গ্রাম-গঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ বিস্তার করছে। (চলবে)