স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে শাহী ঈদগাহে জমজমাট মেলা

19
স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে মেলা। অভিভাবকদের সাথে শিশুরাও সেখানে যাচ্ছে এতে করে তারা রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে।

স্টাফ রিপোর্টার :
কোন ধরণের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে নগরীর শাহী ঈদগাহে সিলেট উইমেন্স চেম্বারের উদ্যোগে জমজমাট মেলা চলছে। আর এই মেলায় প্রতিদিন ক্রেতা-বিক্রেতাসহ হাজার হাজার মানুষ মেলা মাঠে ভিড় করছেন। অথচ এই মুহূর্তে পুরো বিশ্বসহ বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ৩০শে মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত সরকার এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দোদল্যমান রয়েছে। এ অবস্থায় মেলা আয়োজন নিয়ে সর্বমহলে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে সকলের একই প্রশ্ন করোনার এই সময়ে কি করে মেলার আয়োজন করে বিপুল সংখ্যক লোকের সমাগম করার।
সরেজমিন মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা গেছে, মেলায় যারা আসছেন ক্রেতা-বিক্রেতা তাদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। গাদাগাদি করে বিভিন্ন স্টল ও রাইডে চড়ছেন। এছাড়া বিভিন্ন আলো ও পানির মিশ্রণে যে ওয়াটারশু চলছে সেখানে শত শত মানুষ হুমড়ি হয়ে পড়ছেন। মেলাই প্রবেশের গেইটে দু’একজনকে দেখা গেছে টেম্পারেচার মাপতে। তাও মাঝে মধ্যে আর গেইটে দায়িত্বরতরা মাস্ক না থাকলে শুধু জিজ্ঞাসা করছেন মাস্ক কোথায়? কিন্তু এর পর গেইট পাস দেখালে তাকে অনায়াসে ঢুকতে দিচ্ছেন। মেলায় কথা হয় নগরীর কাজীটুলা থেকে আসা একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাবিয়া মিমের সাথে। মেলায় আসলেন অথচ মুখে মাস্ক নেই। তার জটপট উত্তর কেউতো মাস্কের জন্য আটকায়নি। তাই ততটা গুরুত্ব দেইনি। নগরীর শাহজালাল উপশহরের হাসান আহমদ পেশায় একজন ব্যাংকার। বললেন, তার নিজের মুখে মাস্ক থাকলেও অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। তিনি বলেন, মেলায় এমন কাউকে দেখলাম না যে মাস্কের জন্য জিজ্ঞাসা করতে। যে যার মতো ঘুরছে ফিরছে। স্বাস্থ্যবিধির কোন তুয়াক্কাই নেই।
এদিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে মেলায় তিল ধারণের জায়গাই থাকে না। ছেলে-বুড়োসহ সব বয়সের মানুষ মেলায় হুমড়ি খেয়ে পড়েন। বিশেষ করে এদিন পরিবার পরিজনের সাথে মেলায় শিশুদের বেশী দেখা যায়। সচেতন মহলের অভিমত এ অবস্থা চলতে থাকলে শিশুরাও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে।
অপরদিকে স্থানীয় জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রের সাথে কথা বললে এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।