জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে জোরপূর্বক ৫ জনের মাথা ন্যাড়া ও দাড়ি কর্তনের দায়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার পাটলি ইউনিয়নের গোয়ালকুড়ি গ্রামের মৃত ছুরত মিয়ার ছেলে শ্যামল মিয়া, পাটলি গ্রামের মৃত চমক আলীর ছেলে আনর মিয়া ও মইজপুর গ্রামের মৃত খুর্শেদ মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া।
জানাগেছে, গত ১২ মার্চ শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে স্থানীয় রসুলগঞ্জ বাজারের সেলুনে স্টাইল করে চুল ও দাড়ি কাটছিলেন রসুলগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা লিলন দাসের ছেলে আনসার ভিডিপি সদস্য লিপন দাস সহ কয়েকজন। এ সময় লোহারগাঁও গ্রামের ফুল মিয়া নামের এক ব্যক্তি কটুক্তি করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ফুল মিয়ার পক্ষ নিয়ে কয়েকজন উত্তেজিত ব্যক্তি লিপন দাস, নয়ন কর, সুবেন্দ কর সহ ৫ জনের মাথা ন্যাড়া ও দাড়ি জোরপূর্বক কর্তন করে দেন। এ ঘটনায় ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে রাত প্রায় ৯ টার দিকে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করেন। এ ঘটনায় লিপন দাস বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে মামলার বাদী লিপন দাস বলেন, তারা আমাদেরকে মারপিট করে জোরপূর্বক মাথা ন্যাড়া ও দাড়ি কর্তন করেছে। তবে পাটলি ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হক বলেন, এ ঘটনায় আমি মর্মাহত। জগন্নাথপুর থানার এসআই রাজিব রহমান জানান, মাথা ন্যাড়া ও দাড়ি কর্তন মামলার ৩ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া গরু চুরি মামলায় উপজেলার নাদামপুর গ্রামের মৃত রুছমত আলীর ছেলে কবির মিয়া ও অন্য মামলায় ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের ওয়ারিছ উল্লার ছেলে তাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের ১৩ মার্চ শনিবার সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।