কোম্পানীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরফিন টিলায় টাস্কফোর্সের অভিযানে প্রায় ১ কোটি টাকা মূল্যমানের পরিবেশ বিধ্বংসী ও অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ১৩টি বোমা মেশিন ও ১৫টি শ্যালো মেশিনসহ কয়েক হাজার ফুট প্লাস্টিক পাইপ আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা চার ঘন্টা এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জী ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে টাস্কফোর্সের বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও বিজিবি সদস্য অংশগ্রহণ করে। এর আগে চলতি মাসের ৮ ও ১২ তারিখ শাহ আরফিন টিলায় টানা অভিযান চালায় কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ। ৮ সেপ্টেম্বর অভিযান চালিয়ে শক্তিশালী ৬টি বোমা মেশিন ও কয়েক হাজার ফুট প্লাস্টিক ও লোহার পাইপ ধ্বংস করে পুলিশ। যার মূল্যমান প্রায় ৩৬ লাখ টাকা। ১২ সেপ্টেম্বরের অভিযানে ১৬টি বোমা মেশিন এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়। যার মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা। চলতি মাসের ৩ অভিযানে মোট ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকার মেশিন ধ্বংস করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জী জানান, উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পাথরখেকো চক্র শাহ আরফিন টিলায় বোমা মেশিন দিয়ে পরিবেশ ধ্বংস করছে। যে কারণে টাস্কফোর্সের অভিযানে ১ কোটি টাকার পরিবেশ বিধ্বংসী বোমা মেশিনের সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, পাথরখেকো সিন্ডিকেট যতই শক্তিশালী হোক না কেন। পরিবেশ ধ্বংসকারীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স। জেলা পুলিশের প্রতিটি মাসিক সমন্বয় সভায়ও এ ব্যাপারে আলোচনা হয়। আমাদের কাছে নির্দেশ আছে, কোনো বোমা বেশিন চলতে পারবে না। আমাদের অভিযান চালানোর পর লুটেরা চক্র ভাঙ্গা এবং পুড়িয়ে দেয়া বোমা মেশিন ঠিকঠাক করে আবারো পাথর উত্তোলনে লিপ্ত হয়। শাহ আরফিন এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। তা স্বত্ত্বেও কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।