খাদিমে নাঈম খুনের ঘটনা ॥ এক বন্ধু গ্রেফতার, ৭ জনকে আসামী করে মামলা

18

স্টাফ রিপোর্টার :
খাদিম বিআইডিসি এলাকায় ছুরিকাঘাতে নাঈম আহমদ (২০) খুনের ঘটনায় গতকাল বুধবার পর্যন্ত তার এক বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত দেলোয়ার হোসেন সবুজ (২২) গোয়াইনাঘাট উপজেলার ফতেহপুরের বড়নগর গুলনি চা বাগানের লাল মিয়ার পুত্র। বর্তমানে সে শাহপরানের চামেলীবাগ এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে এ ঘটনায় নাঈমের বন্ধু সবুজসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনকে আসামী করে তার পরিবারের পক্ষ থেকে শাহপরান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, গতকাল ময়না তদন্ত শেষে নিহত নাঈমের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। নিহত নাঈম আহমদ শাহপরান থানার খাদিম পাঁচগড়ি গ্রামের নিজামুদ্দিনের পুত্র। বর্তমানে সে মোহাম্মদপুর প্রত্যাশা ১১৯ নং বাসার বাসিন্দা ছিলো।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এক অটোরিক্সা চালক শাহপরান থানায় ফোন করেন। তিনি পুলিশকে জানান, শাহপরান থানার কৃষি-খামার সুইচ গেট সংলগ্ন প্রধান সড়ক হতে প্রায় ১ কিমি ভিতরে পায়ে হাঁটা রাস্তার পাশে একজন যুবককে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। শাহপরান থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় নাঈমকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নাঈম শাহপরানের প্রত্যাশা ১১৯নং ছেলে। শাহপরান মাজার গেইট এলাকার তার বাবার নিজাম উদ্দিনের মাছের ব্যবসা রয়েছে।
নাঈমের বোন রুজি বেগম বলেন, নাইমের বন্ধু সবুজ এবং রাব্বি তাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। তাদের ফোনের তাড়ায় আমার ভাই ভাত না খেয়েই বেরিয়ে যায়। তাকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নাঈমের মামা আলাউদ্দিন বলেন, রাব্বি ও সবুজ মাদক সেবনের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। তারা নাঈমকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত নাঈমের বন্ধু দেলোয়ার হোসেন সবুজকে শাহপরান থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।